স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ৯ ডিসেম্বর: “মিম বিজেপির হয়েই কাজ করে, কিন্তু এরাজ্যে সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘু এই দুই সম্প্রদায়ের মানুষ খুবই সচেতন। ফলে এরাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে মিমের কোনও প্রভাব পড়বে না”। রায়গঞ্জ এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে এমন কথাই জানালেন রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রায়গঞ্জ মার্চেন্ট ক্লাব ময়দানে প্রতিবন্ধী সমিতি আয়োজিত এক সভায় যোগ দেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, এরাজ্যের মানুষ জানেন প্রশ্নটা ধর্মের নয়, প্রশ্নটা রুজি রুটির। প্রশ্নটা মানুষের মাথা উঁচু করে বাঁচার, মানুষের অধিকারের যা শুধুমাত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারেন, দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে গেলে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, এখানকার যারা বিজেপি নেতা রয়েছেন তাঁরা বিজেপির দিল্লিওয়ালা নেতাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, তাঁদের জায়গা পেছনের বেঞ্চে “।
।ব্রাত্য বসু বলেন, বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের প্রলোভিত করছে টোপ দিচ্ছে দলে আসলে ভালো জায়গা দেওয়া হবে। কিন্তু যে মুহুর্তে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে তখন তাদের পেছনের সারিতে ফেলে দেওয়া হবে। তখন বাইরের রাজ্য থেকে নেতা এনে বসিয়ে দেবে বিজেপি। রাজ্যের তৃণমূল নেতারা এটা ভালো করে জানেন। তাঁর আরও অভিযোগ, এরাজ্যের বিজেপি নেতারাই দলে সন্মান পাচ্ছেন না, ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে গেলে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে আর ভোটের পরে তাদের পেছনে ফেলে দেওয়া হবে।
এদিন নাম না করে বিজেপির বিরুদ্ধেই শুভেন্দু অধিকারীর নামে পোস্টার ব্যানার লাগানো ও প্রচারের অভিযোগ তুললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, যাঁর নামে পোস্টার ব্যানার ছড়ানো হচ্ছে হয়তো তিনি নিজেই জানেন না। কেউ বা কারা তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে বিভেদ ছড়ানোর লক্ষ্যে এই কাজ করছে। তিনি বলেন, শুভেন্দু বা অন্য কেউই এখনও তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে দিয়েছেন বা ছাড়ার কথা ঘোষণা করেননি, অথচ তাঁর নামে পোস্টার ব্যানার ছড়ানো হচ্ছে। এটা কি বিজেপির কাজ বা চক্রান্ত এই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, রাজ্যে এই মুহুর্তে এ-লই কাজ করার ক্ষেত্রে বিজেপি ছাড়া আর কার কথাই বা ভাবাই যায়!