আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ১৮ জুলাই: ভোটে জেতার পরেও গ্রামে ফিরতে পাচ্ছেন না বিজেপির জয়ী প্রার্থী সহ তাঁর সঙ্গীরা বলে অভিযোগ। ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই গ্রাম ছাড়া বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। তৃণমূল আশ্রিত গুণ্ডা বাহিনী বিজেপির জয়ী প্রার্থী সহ বিজেপি কর্মীদের উপর তীর ধনুক নিয়ে আক্রমণ চালাচ্ছে অভিযোগ বিজেপি। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, মিথ্যে অভিযোগ তুলছে বিজেপি।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও বেলাকোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি বুথে ব্যালট বাক্স লুট, আগুন ও ভাঙ্গচুরের অভিযোগ উঠেছিল। দুটি বুথে পুরনার ভোট হয় ১০ জুলাই। বেলাকোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮/২৬৮ নম্বর বুথে পুনরায় ভোটে বিজেপি প্রার্থী ষষ্টি মণ্ডল মোট ৫৭২ ভোট পেয়ে তৃণমূলের প্রার্থী বরুণ রায়কে ২৪০ ভোটে পরাজিত করেন। ভোটের ফল প্রকাশ হতেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি উপর আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ। তীর ধনুক দিয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থীকে আক্রমণ করা হয়। সেদিন থেকে বাড়ি ছাড়া তিনি। শুধু তাই নয়, গ্রামে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপি প্রার্থীর ছায়াসঙ্গীরাও গ্রামে ঢুকতে পাচ্ছেন না।
জয়ী বিজেপি প্রার্থী ষষ্টীর কাকা সুনীল বর্মণ বলেন, “ভোটের আগে থেকে তৃণমূলের হুমকি চলছিল। ভোটের পর বিজেপি জয়ী হয়। তারপর তীর ধনুক নিয়ে আক্রমণ করে হুমকি দেয় তৃণমূলের লোকজন। এখন বিজেপির সকলেই ঘর ছাড়া।”
জয়ী প্রার্থীর দিদা হীরণ বর্মণ বলেন, “ভোটের আগে থেকে তৃণমূলকে ভোট দিতে বলা হয় এবং হুমকি দেখানো হয়। ফল প্রকাশের পরেই আমার নাতি জয়ী প্রার্থী সহ ১৫-২০ জন গ্রাম ছাড়া।”
এদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “জয়ী হলেও গ্রামে থাকতে পাচ্ছেন না বিজেপির জয়ী প্রার্থী। এটা দুর্ভাগ্যের বিষয়। জয়ী প্রার্থীদের হারিয়ে সার্টিফিকেট না দেওয়ায় এই সব হয়েছে। গণতন্ত্রের কালা দিবস ছিল সেদিন। এর জন্য সরকারি আমলারা দায়ী।”
এদিকে সদর ব্লকের তৃণমূলের অবজারভার তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। কে কে বাড়ি ছাড়া জানানো হোক প্রশাসনকে। বাড়ি ছাড়া নাকি ঘুরতে গিয়েছে? গল্প সাজাতে পারে সহানুভূতির জন্য।জলপাইগুড়িতে এই ধরণের ঘটনা ঘটেনি।”