আমাদের ভারত, ২২ সেপ্টেম্বর: মঙ্গলবার রাজ্যসভায় আরো একটি কৃষি বিল পাশ করিয়ে নিল কেন্দ্র সরকার।এবার থেকে চাল ডাল আলু পেঁয়াজ, তৈলবীজ সহ বেশ কয়েকটি দৈনন্দিন খাদ্য সামগ্রী আর অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে গণ্য হবে না। আজকের পাশ হওয়া এই বিলটিতে এই ব্যবস্থার সংস্থান রয়েছে। বিরোধীশূন্য রাজসভায় বিনা বাধায় সহজেই এই বিলটি পাস করিয়ে নেয় কেন্দ্র। কেন্দ্র সরকারের দাবি এরফলে কৃষি ক্ষেত্রে বাড়বে বিনিয়োগ। ফলে লাভবান হবেন কৃষকরা।
কৃষি বিল নিয়ে বিরোধীদের লাগাতার প্রতিবাদ চলছে। তার মধ্যেই মঙ্গলবার বিরোধীশূন্য রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গেল কৃষি সংক্রান্ত আরও একটি বিল। রাজ্যসভায় আট সংসদকে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে অধিবেশন বয়কট করেছে বিরোধীরা। এর আগে ১৫সেপ্টেম্বর এই বিলিটি লোকসভায় পাশ করিয়ে ছিল কেন্দ্র সরকার। এরপর রাজ্যসভাতেও বিনা বাধায় বিলটি পাশ হয়ে গেছে।
সংসদে পাশ হয়ে যাওয়া এই বিলে অনুযায়ী, এবার থেকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থাকছে না চাল ডাল আলু পেঁয়াজ, তৈলবীজ সহ বেশ কয়েকটি দৈনন্দিন খাদ্য সামগ্রী।
বিরোধীদের অভিযোগ এই বিল পাশ করিয়ে দেশের গরীব মানুষকে ভয়ংকর বিপদের মুখে ঠেলে দিলো কেন্দ্র। তাদের অভিযোগ এবার থেকে চাল ডাল আলু পেঁয়াজ, তৈলবীজ সহ বেশ কয়েকটি দৈনন্দিন খাদ্য সামগ্রী ইচ্ছেমত মজুদ করে রাখতে পারবে ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে নিজেদের খেয়ালখুশি মতো দামে তারা বিক্রি করতে পারবেন এই সামগ্রী। এতে কোন রাজ্য সরকার কোনো রকম হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। মজুদ করা পণ্যের উপর সরকারি কোনো নিয়ন্ত্রণ আর থাকবে না।
বিরোধীদের দাবি এই ব্যবস্থার ফলে, কৃষকদের সাথে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষও বিপদে পড়বে। কিন্তু সুবিধা হবে দেশি-বিদেশি কর্পোরেটদের। দরিদ্র কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে পণ্য কিনে তারা চড়া দামে বাজারে বিক্রি করবে। দৈনন্দিন খাদ্য সামগ্রী গোটা বাজার চলে যাবে কর্পোরেটদের দখলে।
যদিও বিরোধীদের সব আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। মোদী সরকারের যুক্তি এই বিল পাস হওয়ায় দীর্ঘদিনের বন্ধন থেকে মুক্ত হয়েছেন দেশের কৃষকরা। কৃষি ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন এই বিল। বাড়বে বিদেশি বিনিয়োগ। মজুদদারির সীমা না থাকায় এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগে উৎসাহিত হবে বেসরকারি সংস্থাও। দেশ কৃষিক্ষেত্রকে একুশ শতকের উপযোগী করে তুলতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের সংশোধনী বিল অত্যন্ত জরুরী বলেই ব্যখ্যা করেছে শাসক দল। তাদের যুক্তি এই নয়া আইনের ফলে কৃষক তাদের কষ্টার্জিত পণ্য ইচ্ছেমত যেখানে খুশি বিক্রি করতে পারবে, তাতে কোনো বাধা থাকবে না।