বাংলা নিয়ে প্রবন্ধ ও হস্তাক্ষর প্রতিযোগিতা

অশোক সেনগুপ্ত, আমাদের ভারত, ১৫ ফেব্রুয়ারি: কার্মেল হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির দুই ছাত্রী শরণ্যা রায়চৌধুরী ও কাজী জাহির ইবনাত, বিনোদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির অহনা দাস, এ কে মিত্র হাই স্কুলের নবম শ্রেণির বর্ষা দাস— এদের মত ৪৭ জন পড়ুয়া বুধবার সমবেত হয়েছিল একটা পরীক্ষায়। কে, কতটা গুছিয়ে ভাবতে পারে, লিখতে পারে, হাতের লেখা কতটা আকর্ষণীয়— বিচার্য বিষয় ছিল সেটাই।

আসলে মাতৃভাষা দিবস নিয়ে শুরু হয়েছে বিস্তর আলোচনা। আমরা জীবনের সঙ্গে কতটা ধরে রাখতে পারছি মাতৃভাষাকে, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বুধবার বিপ্লবতীর্থ চট্টগ্রাম স্মৃতিসংস্থার প্রতিষ্ঠা দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে “বাংলা প্রবন্ধ ও হস্তাক্ষর প্রতিযোগিতা”র আয়োজন করা হয়েছিল শহিদ সূর্য সেন ভবনে, (৪৩২, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, যোধপুর পার্ক, কলকাতা-৭০০০৬)।

বিভাগ ‘ক’- অষ্টমশ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র / ছাত্রীদের জন্য বিষয় ছিল ‘বাংলা আমার মায়ের ভাষা”। এতে অংশ নেয় ১৮ জন। নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য বিষয় : “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি লাভে বাংলা ভাষা”। এতে অংশ নেয় ২৯ জন। দুই পর্যায়েই লেখার সময় ও শব্দ সংখ্যা ধার্য ছিল যথাক্রমে ৪৫ মি. ও ২৫০। অংশগ্রহণকারীদের সিংহভাগই ছিল ছাত্রী।

বাচ্চাদের এবং তাদের সঙ্গে আসা দিদিমণি ও অভিভাবকদের জন্য ছিল সামান্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা। উভয় বিভাগের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হবে ও প্রত্যেক প্রতিযোগীকে শংসাপত্র দেওয়া হবে ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩, মঙ্গলবার, বিকেল ৫টায় শহিদ সূর্য সেন মঞ্চে।

সংস্থার সভাপতি লীলা পুরকায়স্থ জানান, সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে এভাবেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মাতৃভাষার চর্চা জাগরুক করতে আমরা এই চেষ্টা করেছি। এভাবে ছোটদের নানাভাবে নিজের শিকড় ও অতীতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার, বোঝার অবকাশ করে দিলে উপকৃত হবে সমাজই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *