সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ৩০ নভেম্বর: ইতিমধ্যেই রাজ্যে ডেঙ্গুর কারণে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের, বেসরকারি মতে সংখ্যাটা ৪৫। সরকারি স্তরেই স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে, রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যেই স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে পাওয়া গেল নয়া আতঙ্কের নাম স্ক্রাব টাইফাস। কার্যত গোপনে ৯০ দিনে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন স্ক্রাব টাইফাসে। মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে এইরকম মৃত্যুও হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশেষ নির্দেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। বলা হয়েছে, স্ক্রাব টাইফাসের লক্ষণ অনেকটা ডেঙ্গুর মতোই। অনেক সময় ডেঙ্গুর চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর জানা যাচ্ছে রোগটি ‘স্ক্রাব টাইফাস’। জ্বর, মাথাব্যথা, ঝিমুনি ভাব, মাঝেমধ্যে খিঁচুনিই স্ক্রাব টাইফাসের লক্ষণ৷ আবার অনেক লক্ষণ মেলে ডেঙ্গুর সঙ্গেও। তাই এই রোগটি ডেঙ্গু না স্ক্রাব টাইফাস তা নির্ণয় করতে কিছুটা সময় লাগছে।
এই স্ক্রাব টাইফাসের চিকিৎসা কঠিন নয়, খরচও কম। প্রথমদিকে ধরা পড়লে অ্যান্টি-বায়োটিকেই সুস্থ হওয়া যায়৷। কিন্তু একইরকম উপসর্গের কারণে রোগ নির্ণয়ে দেরি হলেই সমস্যা জটিল হচ্ছে।
এদিকে, স্ক্রাব টাইফাসের মোকাবিলায় বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। ১৯টি জেলা হাসপাতালে স্ক্রাব টাইফাসের চিকিৎসা- কিট পাঠানো হয়েছে৷ প্রতিটি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুত রাখার কথা বলা হয়েছে। রাজ্যের সব ক’টি মেডিক্যাল কলেজে মনিটরিং সেল তৈরি হয়েছে৷ ডেঙ্গুর ছদ্মবেশে কোনোভাবেই স্ক্রাব টাইফাস রাজ্যে আর থাবা বসাতে না পারে, তার জন্য পুরোমাত্রায় সতর্ক স্বাস্থ্য দফতর।