আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৫ অক্টোবর: বাজির বেআইনি কারখানাগুলি অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানালেন পরিবেশ ও সমাজকর্মী তথা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রাক্তন আধিকারিক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়। তাঁর আর্জি, চেষ্টা করতেই হবে নৈঃশব্দের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে।
তিনি জানিয়েছেন, “দুর্গাপূজার সাথে সাথে আরম্ভ হয়ে গেছে শারদীয়া উৎসব। উৎসবের রেশ থাকবে সরস্বতী পুজো পর্যন্ত। উচ্চস্বরে মাইক বাজবে, শব্দবাজি ব্যবহার হবে নিয়ম ভেঙে। তবু চেষ্টা করতেই হবে নৈঃশব্দের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে। শব্দদানব এক সময় পশ্চিমবঙ্গের বুকে বোতল বন্দী হয়েছিল কিন্তু সে আবার বোতলের বাইরে এসেছে।
বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শব্দদানবকে বোতল বন্দী করার জন্য নাগরিক আন্দোলন আরম্ভ করেছেন, প্রশাসনকে সক্রিয় হবার জন্য আবেদন করেছেন। শব্দদানব যদি বোতলবন্দী না হয়, তবে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে আরও অনেক শব্দশহীদের জন্য। পশ্চিমবঙ্গে ১৯৯৭ থেকে আজ পর্যন্ত ১৪ জন শব্দ শহীদ হয়েছেন, যদিও মাত্র একটি ক্ষেত্র ছাড়া আর কোনও ক্ষেত্রেই দোষীরা কোনওরকম শাস্তিও পাননি। দোষীদের দ্রুত শাস্তি ও শব্দশহীদদের ক্ষতিপুরণের জন্য হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা বিচারাধীন।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য পশ্চিমবঙ্গের বুকে বহু বেআইনি বাজি কারখানা এখনও বিদ্যমান। বারংবার আবেদন নিবেদন করা সত্বেও এই বেআইনি কারখানাগুলি কাজ করে চলেছে। জানা গেছে, এই ধরনের কারখানায় বেআইনি বোমা ইত্যাদিও তৈরি করা হয়। এই সব কারখানায় বিস্ফোরণের ফলে কেবলমাত্র এই রাজ্যেই এখনও পর্যন্ত প্রায় সত্তর জনের মতো মানুষ মারা গেছেন। এমনকি গত ১১ই অক্টোবর পূর্ব মেদিনীপুরের এমনই একটি বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ফলে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
তাই মনে হয়, এই রাজ্যে বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। তবু যেকোনও পরিস্থিতিতে, যেকোনও মূল্যে জারি রাখতে হবে নাগরিক আন্দোলন।”