পার্থ খাঁড়া, মেদিনীপুর, ২৮ অক্টোবর: ঘাটাল শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত কালীপুজোর অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন খড়্গপুরের বিধায়ক হিরন চ্যাটার্জি ও অন্যান্য নেতৃত্বরা। এদিনের এই পূজার অনুষ্ঠান থেকে ফের ধর্ম ও তার অস্তিত্ব বাঁচানোর আহ্বান জানান শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন বক্তব্যের শুরুতে তিনি বলেন, “আমরা দেওয়ালীর দুটো উপহার পেয়েছি। যার একটা হল কালীপুজোর আগের দিন ভারতীয় ক্রিকেট টিম পাকিস্তানকে হারিয়ে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয় উপহার হলো হরে কৃষ্ণ মন্ত্র যিনি গোটা পৃথিবীতে প্রচার করেছেন সেই ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা, শ্রীল প্রভুপদ এর মন্ত্র শিষ্য ঋষি সুনাক বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। যে ইংরেজরা আমাদের শাসন করেছিল সেই ইংরেজদের শাসন করবেন এমন একজন লোক, যিনি মাথায় তিলক কেটে রাধা মাধবের আরতি করেন, গরুর সেবা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন বৃটেনের। এটা ভগবান না চাইলে হতে পারেন না। এটা দেওয়ালির বড় উপহার আমাদের কাছে।”
সনাতনী হিন্দুদের একমাত্র দেশ হচ্ছে ভারতবর্ষ:
এরপর হিন্দুধর্ম রক্ষা বিষয়ে স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে তিনি বক্তব্যে বলেন, “আপনাদের কাছে একটা কথাই বলব, যারা ইসলাম মানেন তাদের জন্য বহু দেশ আছে, ক্রিশ্চান, ইহুদিদের দেশের সংখ্যাও অনেক। সনাতনী হিন্দুদের একমাত্র দেশ হচ্ছে ভারতবর্ষ। শেষ আশ্রয়স্থল। তাই সব করুন, দলের মতের পার্থক্য থাকতে পারে, তাই ৫০০ টাকার জন্য ধর্মের সঙ্গে সমঝোতা করবেন না। ভারত মাতাকে রক্ষা করার কাজটা সবাই করবেন। এই রাজ্যে হিন্দু জাগরণ দরকার আছে। এখানে মহাদেবের শিবলিঙ্গকে গালাগালি করা হয়, মা কালীকে সাংসদ ( মহুয়া মৈত্র) বলেন, তিনি নাকি গাঁজা খায়। পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের দেব দেবীকে আক্রমণ করা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে একদল লোকের।
এত যদি ক্ষমতা রয়েছে কোরআন, হাদিস বা বাইবেলের একটা লাইন ভুল বলে দেখান তো:
মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে বলেন, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিছু উচ্চ ক্ষমতাশালী লোক চণ্ডী মন্ত্র, সরস্বতী মন্ত্র ভুল পাঠ করেন। বলেছিলাম, এত যদি ক্ষমতা রয়েছে কোরআন, হাদিস বা বাইবেলের একটা লাইন ভুল বলে দেখান তো। আমাদের বাংলার হিন্দুদের চামড়া গন্ডারের থেকেও মোটা হয়ে গিয়েছে। তাই আমাদের দেবদেবী, ধর্ম, মন্ত্রকে অপমান করলেও কিছু বলি না। এই মানসিকতার পরিবর্তনের দরকার আছে। এই জাগরনের কাজটা আমি বা আমরা সবাই মিলে করছি। আগামী দিনে এখানেও রাষ্ট্র বাদ স্থাপিত হবে। কর্ণাটক গুজরাটের মত এখানেও বিদ্যালয়ে গীতা পাঠ হবে।”
রাজ্যের কর্মসংস্থানকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ঘাটাল চন্দ্রকোনা দাসপুর থেকে কয়েক লক্ষ যুবক অন্য রাজ্যে গিয়েছে কাজের খোঁজে। এরাজ্যে মোড়ে মোড়ে মদের বোতল পাবেন। আর পাবেন ডিয়ার লটারি। তাই এই রাজ্যে বাঁচতে হলে আগামী পঞ্চায়েতে দলহীন পঞ্চায়েত, লটারি, মদ বন্ধ করে শিল্প বাণিজ্য কর্মসংস্থানের দিক খুলতে হবে। না হলে আপনার আমার বাড়ির ছেলেরা গান্ধী মূর্তির নিচে বসে থাকবে।”