আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ২৯ নভেম্বর: জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম জেলার মানিকপাড়া, বাঁশতলা, পুকুরিয়া, জামবনি বেলিয়াবেড়া ও লালগড় এলাকা থেকে হাতির পাল সরে যেতেই জোরকদমে শুরু হয়েছে ধান তোলার কাজ।
বিগত কয়েক মাস ধরে এই সব এলাকায় দাপিয়ে বেড়িয়ে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি করেছে হাতির দল।বেশ কয়েকটি গ্রামে হানা দিয়ে ভেঙ্গেছে প্রায় পনেরোটি বাড়ি। গত তিন মাসে সাঁকরাইল, গোপীবল্লভপুর, ঝাড়গ্রাম ও নয়াগ্রাম ব্লকে হাতির আক্রমণে পাঁচ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন তিন জন। হাতির উপদ্রবে মাঠের পাকাধান তোলার জন্য চাষিরা যেমন আশঙ্কায় ছিলেন তেমনি বনদপ্তরের কর্মীরাও এলাকা থেকে হাতির পালকে ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে তাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। কিন্তু হাতি তাড়ানোর ক্ষেত্রে বারবার ব্যর্থ হওয়ায় বনদপ্তরের প্রতি ক্ষুব্ধ হন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা। সেই সময় হাতির আতঙ্কে অনেকে মাঠের আধাপাকা ধান কেটে ঘরে তোলেন। বর্তমানে কয়েকদিনের চেষ্টায় হাতিগুলোকে ঝাড়খণ্ডের দলমার জঙ্গলে তাড়িয়ে দিতেই মাঠের পাকা ফসল তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন এলাকার চাষিরা।
ঝাড়গ্রামের বিভাগীয় বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার গড় শালবনি, পুকুরিয়া, বাঁশতলা ও জামবনি এলাকার জঙ্গলে দু’একটি রেসিডেন্সিয়াল হাতি রয়ে গিয়েছিল। হাতির পাল গুলিকে এলাকা থেকে সরিয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।