Elephant, Chandrakona, হাতির তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষতি ফসলের, চরম দুশ্চিন্তায় চন্দ্রকোনার কৃষকরা

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ এপ্রিল: ধান, বাদাম, সবজি সহ মাঠের ফসল খেয়ে ও পারিয়ে নষ্ট করল হাতির দল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা দু’ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের হুড়হুড়িয়া, কামারখালি, গড়গড়ি সহ একাধিক এলাকার ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

কৃষকদের দাবি, শুক্রবার রাতের বেলা বাঁকুড়ার দিক থেকে গড়বেতা হয়ে চন্দ্রকোনার হুড়হুড়িয়া ও কামারখালির জঙ্গলে প্রবেশ করেছে ৪০-৫০টি হাতির একটি দল। আর সেই হাতি আসার সময় একাধিক কৃষকের ধান, বাদাম তিল চাষে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। ফলে দুশ্চিন্তায় রয়েছে ওই সমস্ত এলাকার কৃষকরা। কৃষকদের দাবি, হাতির পাল তাদের এলাকার জঙ্গলেই রয়েছে। বিকেলের দিকে আবার হাতি মাঠে নেমে ফসলের ক্ষতি করবে। এলাকার কৃষকরা চাইছে, হাতিকে বনদফতর অন্যত্রে নিয়ে যাক। শীতের মরসুমে চন্দ্রকোনার এই সমস্ত জঙ্গলে হাতির আনাগোনা থাকে। এলাকাবাসীর কথায়, এই সময়ে হাতি আগে কখনও আসেনি। রাতে হঠাৎ এলাকায় হাতির পাল ঢুকে পড়ায় হুলুস্থূল পড়ে যায় এলাকাজুড়ে।

এই সময় গ্রামে গ্রামে গাজন চলছে। গ্রামে রাতে মানুষের যাতায়াত এখন জঙ্গল লাগোয়া রাস্তা দিয়েই, যার জেরে যে কোনো সময় প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে। বন দপ্তর দ্রুত হাতির পালকে অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করুক। যে এলাকা দিয়ে হাতির পাল গিয়েছে, সেই সমস্ত এলাকার ফসল নষ্ট করেছে। শনিবার সকালে হাতির তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন ভগবন্তপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মনাজুর মোল্লা।

চাষের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি তিনিও স্বীকার করেন এবং বন দপ্তরে লিখিত আবেদন করে কৃষকদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবেন বলে কৃষকদের আশ্বস্ত করেন।পাশাপাশি হাতির পালকে এলাকা থেকে যাতে দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তার জন্যও বন দপ্তরের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *