স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ৩ ফেব্রুয়ারি: শান্তিপুর ব্লকের আরবান্দি দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা চেয়ে আট সদস্য চিঠি দিলেন ব্লক প্রশাসনের কাছে। এই পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যা পনেরো জন। তারমধ্যে পাঁচ জন বিজেপি ও দশ জন তৃণমূল সদস্য রয়েছেন। তাদের দাবি, তাদের অন্ধকারে রেখে কাজ করছেন প্রধান। সম্প্রতি মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করায় পঞ্চায়েতের একটি ভবন ভেঙ্গে ফেলা হয়। সেখান থেকে পাওয়া ইট এবং অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি করে দেওয়া হয়। এছাড়াও পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা একটি পুকুর লিজ দেওয়া হয়েছে তাদের না জানিয়ে।

যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রধান। তিনি বলেন, অনাস্থার ব্যাপারে আমার জানা নেই। এই সংক্রান্ত কোনো চিঠি এখনো আমি পাইনি। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিরুদ্ধে তিনি বলেন, পঞ্চায়েতের বৈঠকে “রেজোলিউশন” করে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর এখন তো দরপত্র ডাকা সহ যাবতীয় কাজ হয় ই-টেন্ডার মারফত।
এদিন ফুলিয়া টাউনশিপ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দিদির সুরক্ষা কবজের প্রচারে এসে রাজ্যের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন যারা অনাস্থা এনেছেন তারা মানুষের আরো পরিষেবা দেবার জন্যই এনেছেন।
যদিও ভারতীয় জনতা পার্টির মন্ডল সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন, এটা ওদের গোষ্ঠী কোন্দল। ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ওদের মধ্যে ঝামেলা। তাই তৃণমূল তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে।

