“শিক্ষা পণ্য নয়, বেসরকারি স্কুল ইচ্ছে মতো টাকার বিনিময়ে শিক্ষা বিক্রি করতে পারে না,” কড়া বার্তা কলকাতা হাইকোর্টের

আমাদের ভারত, ৬ জুন: রাজ্যের বেসরকারি স্কুলে অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধি নিয়ে এবার কড়া বার্তা দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণে শিক্ষা কখনোই ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিক্রয় যোগ্য পণ্য হতে পারে না। ইচ্ছে মতো টাকার বিনিময় শিক্ষা বিক্রি হতে পারে না। বেসরকারি স্কুল যা খুশি, টাকার বদলে শিক্ষা বিক্রি করতে পারে না।

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বেসরকারি স্কুলগুলোর উপর রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি। তিনি বলেন, এটা ঠিক যে বেসরকারি স্কুলের বেতন কাঠামো রাজ্য ঠিক করতে পারে না। কিন্তু কোথাও এটা বলা নেই যে, বেসরকারি স্কুলের উপর রাজ্যের কোনো নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। ২০১২ সালের আইন বলছে এই বিষয়ে রাজ্যের সায় থাকতে হবে।

স্কুলের বেতন বৃদ্ধিতে তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য বলে জানিয়েছে সিবিএসসি। বেসরকারি স্কুলের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্যের কোনো বক্তব্য থাকবে কিনা জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। এই প্রশ্ন বিবেচনায় এনে এই বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধান চেয়েছে আদালত। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল মামলায় সাওয়াল করার জন্য অনুরোধ জানান। আগামী ২১ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

কোভিড সময় কাল থেকে স্কুলের ফি বৃদ্ধি ঘিরে মামলা আদালতে গড়িয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট মার্চ থেকে আগের মতো স্কুলের ফি দিতে হবে বলে জানিয়েছিল। ৮০ শতাংশ নয়, বেসরকারি স্কুলগুলোকে পুরো ফি দিতে হবে বলে নির্দেশে জানানো হয়েছিল। এর আগে আদালত বলেছিল করোনা কালে বকেয়া স্কুল ফি-র পঞ্চাশ শতাংশ দিতে হবে। তবে বকেয়া না দিলে ২৫শে মার্চ পর্যন্ত কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। করোনা অতিমারি পর্বে স্কুল বন্ধ ছিল অভিভাবকদের অভিযোগ ছিল, স্কুল বন্ধ থাকলেও অন্যান্য বহু রকমের ফি নিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তা নিয়ে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *