আমাদের ভারত, ১০ ফেব্রুয়ারি:কমানো হয়েছে আমদানি শুল্ক। কিন্তু তার পরেও দাম কমছে না ভোজ্যতেলের। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যাতে না বাড়ে তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার একের পর এক পদক্ষেপ করলেও তা সার্বিকভাবে ফলপ্রসূ হচ্ছে না। কিছুদিনের জন্য ভোজ্যতেলের দাম কমলেও আবারও রেকর্ড দাম বেড়েছে ভোজ্য তেলের।
নতুন বছরে সারা পৃথিবী জুড়েই পাম তেলের দাম এবছর রেকর্ড হারে বেড়েছে। কুড়ি শতাংশ বেড়েছে এবছর পাম তেলের দাম। এছাড়াও সয়াবিন তেলের দাম এবছর ১৭ শতাংশ বেড়েছে। আর এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন ভোজ্যতেলের দামের ওপরেও পড়েছে। তেলের দাম বাড়ায় বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর ক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়ছে।
পাম, সয়াবিন , সূর্যমুখী তেলের বড় সংখ্যক গ্রাহক আছে। কিন্তু ডিসেম্বর থেকে আকাশছোঁয়া দাম বেড়েছে তেলের।গত ছয় মাসের মধ্যে এখনো পর্যন্ত সব থেকে বেশি দাম বেড়েছে ভোজ্যতেলের।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামের সঙ্গে সঙ্গে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি মোকাবিলায় আমদানি শুল্ক কমানোর পরেও তা তেমনভাবে ফলপ্রসূ হয়নি। যৎসামান্য বিকল্প হিসেবে তা থেকে গিয়েছে। তাই নতুন করেও যদি আবার আমদানি শুল্ক কমানো হয় তাতে খুব একটা প্রভাব পরবে বলে মনে করছেন না ওয়াকিবহাল মহল।
অন্যদিকে খাদ্য মন্ত্রকের বক্তব্য যে সরকার এখন রেশন দোকানের মাধ্যমে রাজ্যগুলিকে প্রধানত গম আর চাল সরবরাহ করার জন্য দেয়। তবে রাজ্য সরকার গুলি নিজেদের তরফেযে কোন ফসল এতে শামিল করতে পারে। বর্তমানে সরকার ভোজ্য তেলের ওপর আমদানি নির্ভরতা কমানোর পরিকল্পনা করছে। এতে উৎপাদনকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ফসল রোপনের এলাকা বাড়ানো আর জেনেটিক্যালি মডিফাইড বীজ বপনের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।