পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৩ ডিসেম্বর: মেডিক্যাল তথা ডাক্তারি পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগে মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে ইডি অফিসাররা তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ পূর্ব মেদনীপুর জেলায় রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেস সহ-সভাপতি লক্ষ্মণ শেঠের বাড়িতেও শুরু হয়েছে তল্লাশি অভাযান। অপরদিকে ইডি সূত্রে খবর, সল্টলেক ও বজবজেও একই অভিযোগে তল্লাশি অভিযান চলছে।
হলদিয়াতে ইডির দুই প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে চলছে জোর কদমে তল্লাশি। মঙ্গলবার সকালে প্রাক্তন সাংসদ তথা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ লক্ষ্মণ শেঠের বাড়িতে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা। ‘অঙ্গীকার’ নামের সেই বাড়িতেই এদিন ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় এই তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে ইডি সূত্রে জানা যায়। শুধু তাঁর বাড়িতেই নয়, তাঁর তৈরি করা বেসরকারি হাসপাতাল ‘আই কেয়ার’-এও তল্লাশি চালানো হয়। ডাক্তারিতে এনআরআই কোটা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। ইডি-র কাছে সেই অভিযোগ জমা পড়ার পর শুরু হয় তদন্ত। আর সেই তদন্তের সূত্র ধরেই এদিন রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়। রাজ্যের একাধিক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে এই অভিযোগের তালিকায়। তার মধ্যে অন্যতম লক্ষ্মণ শেঠের এই কলেজ।
বাম আমলে সিপিএম-এর দাপুটে নেতা ছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। হলদিয়াজুড়ে তাঁর দাপটের কথা শোনা যেত। বাম জমানা শেষ হওয়ার পর দলবদল করেন তিনি। বর্তমানে তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি। তবে ৭৯-এর লক্ষ্মণ শেঠকে এখন আর সেভাবে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে দেখা যায় না। হলদিয়া মেডিক্যাল কলেজের তরফ থেকে আজ একটি বড় ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করার কথা ছিল লক্ষ্মণ শেঠের। তার আগেই এই তল্লাশি শুরু হয়। একই সঙ্গে তল্লাশি চলে বজবজে এক মেডিক্যাল কলেজের মালিক জগন্নাথ গুপ্তার বাড়িতেও। যাদবপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজেও তল্লাশি চালানো হয়। সাত সকালে ইডির এই তল্লাশি অভিযান ঘিরে রাজ্যের পাশাপাশি ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে হলদিয়া শহরজুড়ে।