আমাদের ভারত,২০ জানুয়ারি: ভারতের সবচেয়ে ধনী একাংশ মানুষের হাতে যে সম্পদ সম্পত্তি রয়েছে তা ৯৫ কোটি ৩০ লক্ষ সাধারণ মানুষের মোট সম্পত্তির চার গুণেরও বেশি। দেশের ৭০ শতাংশ মানুষের হাতে যে সম্পত্তি রয়েছে তার কয়েক গুণ বেশি আছে মাত্র এক শতাংশ ধনী মানুষের কাছে। দেশের ধনীতম ৬৩ জনের কাছে যে সম্পত্তি আছে তার পরিমাণ ২০১৮-১৯ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে তুলনায় বেশি।
কেন্দ্রীয় বাজেটে গত আর্থিক বছরে অর্থের পরিমাণ ছিল ২৪ লক্ষ ৪২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের বাৎসরিক অধিবেশন। অক্সফাম নামক একটি সংস্থার টাইম টুডের নামে একটি সমীক্ষা রিপোর্টে বলেছে, এই অসাম্য শুধু ভারতে নয় সামগ্রিক বিশ্বজুড়ে তৈরি হয়েছে। বিশ্বের ২১৫৩ জন ধনী ব্যক্তির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪৬০ কোটি মানুষের থেকেও বেশী। পৃথিবীতে যত মানুষ বাস করে তার ৬০ শতাংশের হাতে যে পরিমাণ সম্পত্তি আছে সেই পরিমাণ সম্পত্তি আছে ২১৫৩ জন ধনীর হাতে।
পৃথিবীজুড়ে যেমন ধনীর সংখ্যা বাড়ছে তেমনি বাড়ছে দারিদ্রের সংখ্যাও। শেষ এক দশকে বিলিয়নিয়ারের অর্থাৎ ১০০ কোটি ডলারের বেশি পরিমাণ অর্থের মালিকের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।
অক্সফাম ইন্ডিয়ার সিইও অমিতাভও বেহার বলেছেন, দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচি নিতে হবে অত্যন্ত পরিকল্পনামাফিক। তবেই এই অসাম্য কমানো সম্ভব পর হবে। কিন্তু এই বিষয়ে খুব কম দেশি ভাবনা চিন্তা করছে।
সাধারণ মানুষের উপার্জন বৃদ্ধি ও অর্থনীতিতে লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর অধিবেশনে আলোচনা হবে। প্রতিটি মহাদেশের চলছে অশান্তি। ২০১৯ ও ব্যাপকহারে বেড়েছে অসাম্য। দুর্নীতি, সাংবিধানিক নীতিকে অগ্রাহ্য করা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এই সব অশান্তির কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে একজন পরিচারিকা ২২ হাজার ২৭৭ বছরে যা আয় করেন একটি কোম্পানির সিইও এক বছরে সেই আয় করেন।