Nirmala Sitaraman, GST “পুজোয় যতখুশি রসোগোল্লা খান, আনন্দ করুন,” নয়া জিএসটির সুবিধা বোঝাতে কলকাতায় এসে বাঙালিকে বার্তা অর্থমন্ত্রীর

আমাদের ভারত, ১৮ সেপ্টেম্বর: পুজোয় যত খুশি রসোগোল্লা খান। জিএসটি সংস্কারের পর রাজ্যে এসে মজা করে বাঙালিকে এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। দুধ, পনির, দই- এর দামে জিএসটি ৫% থেকে কমিয়ে শূন্য করা হয়েছে। পনির শ’ বলে একগাল হেসে নির্মলা দেবী বলেন, “বেঙ্গল পনির থেকে সমস্ত কর তুলে নেওয়া হয়েছে। পুজো শুরু করুন আনন্দে হাসিমুখে। যত খুশি রসমালাই, রসগোল্লা খান।”

বৃহস্পতিবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে জটিল অর্থনীতির ঘোর প্যাচের মধ্যেও হালকা মেজাজে বাংলার মানুষকে জিএসটি উপহারের ব্যাখ্যা করলেন অর্থমন্ত্রী। পুজোর মুখে বাংলার মানুষকে কেনাকাটায় বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য পিতৃপক্ষের শেষে মহালয়া কেটে গেলে দেশজুড়ে পরবর্তী প্রজন্মের জিএসটি চালু হতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইচ্ছা অনুসার এই দিনটিতে অর্থাৎ নবরাত্রীর সূচনায় জিএসটি চালু হচ্ছে।

নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা নিজের ইচ্ছে মতো যাতে কেনাকাটা করতে পারে, কেবল উইন্ডো শপিং করে চুপ করে বসে থাকতে না হয়, প্রাণ খুলে পছন্দের জিনিস কিনতে পারে তাই জন্য এই উপহার বলে উল্লেখ করেন দেশের অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতা রামণ।

বৃহস্পতিবার কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগার ভাষা ভবনে নেক্সট জেন জিএসটি আলোচনা সভায় দ্বিতীয় প্রজন্মের জিএসটির সুবিধা বোঝাতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলে, এটি চালু করার কথা অনেকদিন ধরে ভাবা হচ্ছিল, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদী পিতৃপক্ষের জন্য দিন পিছিয়ে দেন। আমরা ঠিক করি বাংলা তথা দেশের সর্ববৃহৎ উৎসব পুজোর আগেই চালু করা হবে নেক্সট জেন জিএসটি। যাতে মাত্র দুটি স্তরের জিএসটির পুরোপুরি সুবিধা নিতে পারেন বাংলা সহ সাধারণ মানুষ।

পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তিনি স্তরে স্তরে বুঝিয়ে দেন কেন্দ্রের পদক্ষেপের দিকগুলি। পরবর্তী প্রজন্মের জিএসটি’তে বাংলার বিশেষভাবে লাভ হবে বলেও ব্যাখ্যা করেন নির্মলা সীতারমণ।

নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সহ বাংলা, শান্তিনিকেতনের চর্ম শিল্প বিশেষভাবে লাভবান হবে এর ফলে বলে জানান তিনি। বাঁকুড়ার টেরাকোটা, মৃৎশিল্প সামগ্রীর জিএসটি ৫% স্তরে নামিয়ে আনা হয়েছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

এছাড়া পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ার ছৌ মুখোশ, দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডির ক্ষুদ্র শিল্প, বর্ধমানের হস্তশিল্প, শোলা কারিগরদের সামগ্রী সামগ্রিক ৫ শতাংশ, নকশী কাঁথা শিল্পীরা, মালদার আম, দার্জিলিংয়ের চা শিল্প, চটের ব্যাগ, রেডিমেড পোশাক শিল্প এই জিএসটির ফলে লাভবান হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *