Rammandir অযোধ্যায় খনন কার্যের সময়, একের পর এক হিন্দু প্রতীক উঠে এসেছিল, বহু ফতোয়া হুমকির সত্বেও সত্যকে আঁকড়ে ছিলেন এএসআই আধিকারিক কে কে মহম্মদ

আমাদের ভারত, ২৫ জানুয়ারি:
মহা সমারোহে রামমন্দিরে রামলালা প্রতিষ্ঠা হয়েছেন। আর সেই অনুষ্ঠানেকে কেন্দ্র করে আবারও উঠে এসেছিল সেই চিরন্তন প্রশ্ন। কি পাওয়া গিয়েছিল বাবরি মসজিদের নিচে? সেই সময় আর্কিওলজিক্যাল ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে থাকা এক আধিকারিক কে কে মহম্মদ, এক ইংরেজি সংবাদপত্রকে সাক্ষাৎকারে কী জানিয়েছে তিনি সেই খননকার্যের সময়কার কথা?

১৯৬৬-৬৭ সাল সেই সময় শিক্ষানবিশ ছিলেন কে কে মহাম্মদ। তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন, প্রথমে যখন খনন করা হয় তখন দেখা গিয়েছিল বাবরি মসজিদের তলায় রয়েছে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ। নিজের অবস্থানে আজও অবিচল তিনি। ইংরেজি সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুসারে তিনি জানিয়েছেন, “আমরা সেই সময় ১২টি পিলার দেখেছিলাম। একটি পিলার দেখে মনে হয়েছিল এখানে মন্দির ছিল। একটা পিলারের নিচের দিকে একটা পূর্ণ কলস ছিল। এটা হিন্দু ধর্মের সমৃদ্ধির প্রতীক। ছিল অষ্টমঙ্গল চিহ্ন। হিন্দু ভবনে এটা খুব দেখা যায়। ১২ শতকে এই চিহ্ন হিন্দুভবনে ব্যবহার হতে দেখা গেছে।

তিনি আরো জানিয়েছেন, মুসলিমদের কাছে মক্কা আর মদিনা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি অযোধ্যা হিন্দুদের কাছে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে নানা ফতোয়া জারি করা হলেও তাঁর অবস্থানে তিনি অনড় ছিলেন। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে গিয়েও তদন্ত করা হয়েছিল। গোয়াতে বদলি করে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তবুও তিনি তাঁর বক্তব্য থেকে সরে আসেননি।

এরপর প্রফেসর বিআর মণির নেতৃত্বে দ্বিতীয়বার খনন করা হয়েছিল সেখানে। তখন একের পর এক পিলার, টেরাকোটার মূর্তি বেরিয়ে আসতে থাকে। এর থেকে বোঝা যাচ্ছিল, এর নিচে মন্দির রয়েছে। তিনি বলেন, আমার কাজের সময় আমি একমাত্র মুসলিম ছিলাম। কিন্তু মণির খনন কাজে এক চতুর্থাংশ শ্রমিক ছিলেন মুসলিম ধর্মের। যাতে কোনো পক্ষপাতিত্ব না করা হয়, তার জন্য খনন কাজের ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছিল। আর সত্যি ক্রমশ প্রকাশিত হতে থাকে।

রাম মন্দির তৈরির পেছনে রয়েছে এক বিরাট ইতিহাস। বহু রাজনৈতিক উত্থান পতনের ইতিহাসের সাক্ষী এই রামমন্দির। ঝামেলা, অশান্তি সব হয়েছে। দীর্ঘদিন মামলা চলছে। প্রায় ৫০০ বছর ধরে এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন ভারতবাসী। শেষ পর্যন্ত ২২ জানুয়ারির রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হলো রামলালার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *