খাদিমপুর গ্রামে দশমীতে শুরু দুর্গাপূজা

স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ২৮ অক্টোবর: দশমীতে একদিকে যখন সারা বাংলা জুড়ে দশভূজার বিদায়ে বিষাদের ছায়া ঠিক উলটো চিত্র ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহর থেকে অনতিদূরে খাদিমপুর গ্রামে। দশমীতেই শুরু এখানকার দুর্গাপুজা।
পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন খাদিমপুর গ্রামের আট থেকে আশি সকলেই। পুজোর চারদিন বসে মেলাও। কিন্তু এবার করোনা আবহে বসছে না মেলা, কারন সরকারি নির্দেশ আছে কোন মেলা করা যাবে না।

রায়গঞ্জ থানার ১৪ নং কমলাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের খাদিমপুর গ্রাম নতুন করে মেতে উঠেছে দুর্গাপুজোর আনন্দে। তবে এখানে দেবী দূর্গাকে “বালাইচন্ডী” রূপে পুজা করা হয়ে থাকে। এখানে দেবী দশভূজার বদলে চতুর্ভুজা। চার হাতেই দেবীর অস্ত্র থাকলেও পদতলে মহিষাসুর নেই। তবে অন্যান্য দুর্গামন্ডপের মতো এখানেও দেবী কার্তিক গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী নিয়ে রয়েছেন সপরিবারেই। 

খাদিমপুরের বাসিন্দা তথা পুজো কমিটির কর্মকর্তা প্রভাত বর্মন জানিয়েছেন, কত বছরের পুরানো এই পুজো তা কেউই বলতে পারে না। আনুমানিক পাঁচশো বছর ধরে এই একই নিয়মে দশমীর দিনেই শুরু হয় বালাইচন্ডীরূপী দুর্গা পুজা। দশমীর রাতে শুরু হওয়া পুজো চলবে তিনদিন। পুজোর পাশাপাশি পুজোকে ঘিরে বসে মেলা। আর এই বালাইচন্ডীরূপী দূর্গাপুজোই খাদিমপুর গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে আসল পুজো। এই পুজোকে কেন্দ্র করে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন বাসিন্দারা।

পুরানো রীতি মেনে আজও খাদিমপুরের এই দুর্গাপুজোয় চলে আসছে বলি প্রথা। এখানকার  বালাইচন্ডীরূপী দেবী দুর্গা খুবই জাগ্রত মেনে দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন খাদিমপুরে।

সরকারি নির্দেশ মেনে মন্দিরের আসেপাশে স্যানিটাইজ করা হয়েছে। মাস্ক ছাড়া কাউকে মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানান প্রভাতবাবু। অন্যদিকে জয়শ্রী বর্মন নামে এক গৃহবধূ জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকে দেখে আসছি দশমীর দিন থেকে এখানে দুর্গাপুজো হয়। এই পুজোর জন্য অপেক্ষা করে থাকি। এবার করোনার জন্য মেলা বসছে না তাতে মনটা খারাপ লাগছে। কিন্তু কিছু করার নেই সরকারি নিয়ম মেনেই আমাদের চলতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *