পঞ্চমীতে মাটির হাঁড়িতে ঘুঁটে আর তুষ দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে বাড়ির পুরুষদের আশীর্বাদ করে শুরু হয় রায়গঞ্জের দত্ত বাড়ির দুর্গার বোধন

স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ১৬ অক্টোবর: পঞ্চমীতে মাটির হাঁড়িতে ঘুঁটে আর তুষ দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আর বাড়ির বৌ’য়েরা ওই জ্বলন্ত আগুনের সামনে বাড়ির পুরুষদের বসিয়ে ধান দূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করে মিষ্টি তুলে দেন তাদের হাতে। এরপরই শুরু হয় দেবীর বোধন। রায়গঞ্জ শহরের দত্ত বাড়ির দুর্গোৎসবটা শুরু হয় এভাবেই। পরিবারের ধন সম্পদ বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের জন্যই এমন বিধান রায়গঞ্জের প্রভাবশালী পরিবার দত্তবাড়ির দুর্গাপুজোয়।

উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র মোহনবাটিতে দুর্গাভান্ডার বলে খ্যাত দত্ত বাড়ির দুর্গোৎসব বনেদি বাড়ির পুজোর মধ্যে অন্যতম পুজো। ১৯৪৮ সালে অবিভক্ত বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার বরট গ্রামে দত্তবাড়ির দুর্গাপুজোর সূচনা করেন সুবীর দত্ত। এরপর ১৯৬২ সালে এপার বাংলার রায়গঞ্জ শহরের মোহনবাটিতে শুরু হয় দুর্গোৎসব। মহালয়ার দিন থেকে বাড়ির ঢেঁকিতে এই পুজোর সামগ্রী তৈরি করা হয়। মহা অষ্টমীর দিন কুমারী পুজো করা হয়। সেইদিনই দরিদ্র নারায়ণ সেবার আয়োজন করে দত্ত পরিবার।

পরিবারের অনেক সদস্যই কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে ও বিদেশে থাকেন, কিন্তু পুজোর কটা দিন রায়গঞ্জের মোহনবাটিতে পারিবারিক দুর্গোৎসবে শামিল হয়ে আনন্দ উপভোগ করেন। পুজোর শেষদিনে ভরা অর্থাৎ লক্ষীর ঝাঁপি বাড়ির কোনও পুরুষ দুর্গামন্ডপ থেকে মাথায় করে ঘরে নিয়ে যায়। এটা দত্তবাড়ির পুজোর অন্যতম রীতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *