potato, price, আলুসেদ্ধও কি জুটবে না? ধর্মঘটের কারণে জোগান কমে হু হু করে দাম বাড়ছে আলুর, পকেটে আগুন লাগবে আম আদমির

আমাদের ভারত, ২২ জুলাই: হিমঘর খোলা থাকলেও আলু বের হচ্ছে না, কারণ ব্যবসায়ীরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। ফলে আবার বাজারে আলুর দাম বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জোগান না থাকলে মঙ্গলবার থেকেই আলুর দাম আগুন হতে পারে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর আলুর দাম কমানোর ব্যাপারে সরকারি চাপের মুখে পড়েই ধর্মঘট ডেকেছে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায় সমিতি। তাদের অভিযোগ, বাজারে যোগান বাড়িয়ে আলুর দাম কমাতে গিয়ে কোনরকম লিখিত নির্দেশ ছাড়াই আলু বোঝাই ট্রাক রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তে আটকে রাখা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে শনিবার কর্ম বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যবসায়ীদের এই সংগঠন। রবিবার এমনিতেই হিমঘর বন্ধ থাকে। কিন্তু সোমবার বিভিন্ন জায়গায় হিমঘর খোলা হলেও কর্ম বিরতির কারণে আলু বের করা হচ্ছে না সেখান থেকে। ফলে গত শনিবার হিমঘর থেকে যে পরিমাণ আলু বের করা হয়েছিল তাও বাজারে প্রায় শেষের দিকে। এই পরিস্থিতিতে আশঙ্কা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে যা আলু মজুত আছে তা তারা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করবেন।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর অন্য সবজির দাম কমলেও আলুর দামে বিশেষ হেরফের হয়নি। গত কয়েকদিন ধরেই হুগলি, বর্ধমানের খোলা বাজারে জ্যোতি আলু কেজিতে ৩২ থেকে ৩৩ টাকা, চন্দ্রমুখী আলু কেজিতে ৩৮ থেকে ৪০ টাকার আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। দাম আরো বাড়লে তা আর সাধারণের সাধ্যের মধ্যে থাকবে না বলে মনে করছেন ক্রেতারা।

প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের প্রায় ৮০ হাজার আলু ব্যবসায়ী কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছেন। তাদের অভিযোগ, পুলিশি হয়রানি হচ্ছে রাজ্যের সীমান্তগুলিতে। মুখ্যমন্ত্রী আলু বাইরে পাঠাতে বারণ করেননি। উনি নজরদারি করতে বলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর থেকে আলুর দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণে থাকার পরেও যদি বাইরে আলু যাওয়া আটকানো হয়, তাহলে তাদের ব্যবসা বড় ক্ষতির মুখে পড়ছে। ব্যবসায়ীদের বক্তব্যে, এরকমও আলু থাকে যেগুলি এই রাজ্যে বিক্রি হয় না। বিক্রি হয় বাইরের রাজ্যে। তাও আটকে দেওয়া হচ্ছে।

আলুর দাম বাড়তে থাকায় এবার নির্ধারিত সময়ের আগেই এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই হিমঘর খোলা হয়েছে। নতুন আলু তখন থেকেই বেরচ্ছে। তারপরেও দাম কমেনি। আলু ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, পাইকারি বাজারে দাম ঠিকই থাকছে। কিন্তু খুচরো বাজারে গিয়ে তা বেড়ে যাচ্ছে। হিমঘর থেকে বেরনোর পর একাধিক আরত ঘুরে খুচরো বাজারে আলু পৌঁছায়। একাধিক আরতদার অতিরিক্ত মুনাফা লুটছেন বলে আলুর দাম সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আগে অসাধু আরতদারদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা দরকার। কিন্তু তা না করে ভিন রাজ্যে আলু যাওয়া আটকে দেওয়া হচ্ছে।

প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, প্রশাসন তাদের দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্ম বিরতি চলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *