স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদীয়া, ১৪ জানুয়ারি: স্বাভাবিক প্রসূতির পরও ভুল করে মলদ্বার পর্যন্ত সেলাই করে দেওয়া হল। শেষে মরোনাপন্ন প্রসূতি মায়ের আবার অপারেশন হল। এই ঘটনা নদিয়ার কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালের।
জানা যায়, গতকাল সকাল ৩.৩৫ নাগাদ ভীমপুর থানার শিমুলিয়ার বাসিন্দা অর্পিতা ঘোষ প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তিনি একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। তারপর থেকেই রোগীর অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। অভিযোগ এরপর অর্পিতার স্বামী রাকেশ ঘোষ ডাক্তার ও নার্সদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানতে পারে ভুলবশতঃ স্বাভাবিক প্রসবের পরেও কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীর মলদ্বার পর্যন্ত সেলাই করে দেয়। এরপর অর্পিতার স্বামীকে বলা হয় রক্ত জোগাড় করার জন্য অপারেশন করতে হবে। রাকেশ নিজের রক্ত দিলে তারপর অপারেশন হয়।
রোগীর পরিবার সূত্রে অর্পিতার স্বামী রাকেশ ঘোষ আজ কর্তব্যরত ডাক্তারের বিরুদ্ধে নদিয়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি তিনি রোগীর শারীরিক অবস্থার দিকে লক্ষ্য রাখার জন্য অভিযোগপত্রে আর্জি জানান।
অভিযোগের ভিত্তিতে সদর হাসপাতালের ডাক্তার এস গুপ্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি ব্যাপারটা জানি না। আপনি ঠিক জায়গায় ফোন করেছেন তো? এরপর তাকে সাংবাদিকরা ফোন করে জিজ্ঞাসা করেন আপনি এস গুপ্তা বলছেন তো সদর হাসপাতাল থেকে? উত্তরে তিনি নিজের নাম পর্যন্ত অস্বীকার করেন এবং কিছুক্ষণ থমকে গিয়ে বলেন এই সেলাইগুলো আমরা করি না। সিস্টাররা, নার্সরা করেন।যেহেতু উনি আমাদের তত্ত্বাবধানে ভর্তি হয়েছিল সেহেতু হয়তো উনি আমাদের নাম বলেছেন। আমি পুরো ব্যাপারটা জানি না। আপনি যখন বলছেন তখন আমি ব্যাপারটা জানবো।