Water, Ghola Thana, নিম্নচাপের জের! ঘোলা থানায় জমা জলে দাঁড়িয়েই ঘণ্টার পর ঘন্টা ডিউটি

আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ৮ জুলাই: নিম্নচাপের জের, সারা রাত টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বঙ্গবাসী। শহর থেকে শহরতলী সর্বত্র জল যন্ত্রণায় জেরবার মানুষ। কিন্তু জমা জলের যন্ত্রণা যে শুধু সাধারণ মানুষ সহ্য করছে তা নয়, জমা জলের নরক যন্ত্রণার চিত্র ধরা পড়ল ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত ঘোলা থানাতেও।

এদিন সকালে দেখা গেল সেই চেনা চিত্রটা, যেখানে বিশাল জলরাশি জমে রয়েছে। দেখে কোনো পুকুর মনে হলেও ওটা আসলে একটা আস্ত থানা। এই চিত্র প্রতি বছরের। সামান্য বর্ষা হলেই ঘোলা থানা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। আর তখন এই জমা জলের মধ্যে দাঁড়িয়েই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ডিউটি করতে হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সারা রাতের বৃষ্টিতে ঘোলা থানা জলের তলায় চলে যাওয়ায় গাম বুট পরে জলের মধ্যে দাঁড়িয়েই কাজ করতে হচ্ছে থানার পুলিশ কর্মীদের। এমনকি পুলিশ কর্মীদের সঙ্গেই প্রশাসনিক সাহায্য চাইতে আসা সাধারণ মানুষদেরও ঘোলা থানায় এসে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

ক্যামেরার সামনে মুখ না খুললেও সকলের দাবি, ঘোলা থানাটির উন্নতি সাধন করা হোক। কারণ বর্তমানে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত সব কটি থানাকেই ঢেলে সাজানো হচ্ছে, কিন্তু সেখানে ঘোলা থানার এই দুর্দশা নিয়ে বিরক্ত কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই। তবে এদিনের জল যন্ত্রণার চিত্র ফুটে উঠেছিল পানিহাটি, খড়দা, টিটাগড়, কামারহাটি পৌর এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে। এক দিনের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে একাধিক পৌর এলাকার একই ছবি উঠে এসেছে।

কামাহাটি পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ খাল তাতিয়া খাল। এই খালটি অপরিষ্কার হয়ে রয়েছে দীর্ঘ দিন। সেটি সংস্কারের দাবি উঠলেও কামারহাটি পৌরসভা নড়েচড়ে বসলো না। ফল স্বরূপ, টানা একরাতের বৃষ্টিতেই কামারহাটি অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে।

প্রসঙ্গত, এই খালটি গুরুত্বপূর্ণ। এই খালের জল বাগজোলা খালে পড়ে। যদি আগে থেকেই পরিষ্কার বা নিয়ন্ত্রণ করা যেত তাহলে এক রাতের বৃষ্টিতে কামারহাটি জলমগ্ন হতো না। সম্পূর্ণ খালটি কামারহাটি পৌরসভার সংলগ্ন, কিন্তু তবুও খালটি সংস্কার হলো না। মানুষ থেকে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান থেকে কাউন্সিলর, এমনকি বিধায়ক, সবাই আসেন, খালটি দেখে পরিষ্কারের কথা বলেন, কিন্তু আশ্বাস থেকে যায়। সেভাবে পরিষ্কার হয় না খালটি, যার ফলে কামারহাটি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বলেই দাবি সকলের।

তবে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে প্রতিটি পৌরসভার, পৌর কর্তৃপক্ষ জমা জলের সমস্যা সমাধানে এদিন সকাল থেকেই সচেষ্ট ভূমিকা পালন করেছে বলেই তাদের প্রত্যেকের দাবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *