আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ২৭ এপ্রিল: করোনার ফলে বায়না করা দুর্গা প্রতিমা বাতিল করে দিল বেশ কিছু ক্লাব। প্রতিমা বাতিল হয়ে যাওয়ার কারনে চরম সমস্যার মুখে পড়েতে হল রায়গঞ্জ শহরে কাঞ্চনপল্লী এলাকার বাসিন্দা অর্পিতা পালের। এখন কি করবেন তা ভেবেই উঠতে পারছেন তিনি।
রায়গঞ্জ শহরে কাঞ্চনপল্লী এলাকার বাসিন্দা গণেশ পাল। তিনি কয়েক বছর আগে মারা যাওয়ার পর গণেশবাবুর স্ত্রী অর্পিতা পাল নিজেই তাঁর স্বামীর কাজটিকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। বিগত কয়েক বছর ধরে দুর্গা প্রতিমার অর্ডার ভালোই ছিল। এবার প্রতিমা বানানোর অর্ডার ভালোই পেয়েছিলেন। কিন্তু কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে বহু মানুষ। তার ফলে রাজ্য জুড়ে চলছে লকডাউন। বাড়ির থেকে বের না হতে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার। এছাড়াও প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছে কোনও জায়গায় জমায়েত করে কোনও পুজার্চনা করা যাবে না। তাই প্রতিমা অর্ডার দেওয়ার পরে তা বাতিল করে দিচ্ছে বিভিন্ন ক্লাব।
অর্ডার বাতিল করে দেওয়ার ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন অর্পিতাদেবি। তিনি জানিয়েছেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর আমি এই কাজ করছি। এটার উপরে আমার সংসার চলে।এই অবস্থা কি করবো আমি কিছুই ভাবতে পারছি না।লোকজন দিয়ে কাজ করানো হয়েছে। এবার দুর্গাপুজো হবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় আছি। তার মধ্যে যে সব ক্লাবগুলি প্রতিমার অর্ডার দিয়েছেল তা সমস্তটাই বাতিল করে দেওয়ায় চরম সমস্যার মুখে পড়েছি।