আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ১ মে: করোনা আতঙ্কের জেরে অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়াতেও সমস্যা। তাই ক্যানসারে মৃত মহিলার মৃতদেহ না নিয়েই চলে গেল পরিবারের লোকজন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
মৃত মহিলার ভাই ঘনশ্যাম পণ্ডিত অভিযোগ করেছেন, করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় গ্রামের শ্মশানে মৃতদেহ সৎকার করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে গ্রামের মোড়লরা। এমনকি মেদিনীপুরের পদ্মাবতী শ্মশানেও দাহ করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে। তাই তারা মৃতদেহ না নিয়েই বাড়ি চলে এসেছেন।
মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, মৃত মহিলার নাম প্রতিমা মুখোপাধ্যায়(৩১)। বাড়ি বেলদা থানার উত্তর বাসুটিয়া গ্রামে। তার বিয়ে হয়েছিল ডায়মণ্ডহারবারে। চার বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর বছর দেড়েক আগে তার রেকটাম ক্যানসার ধরা পড়ে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। পরবর্তীকালে বাপের বাড়ির লোকজন তাঁকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেখান থেকেই তার চিকিৎসা চলছিল।
লকডাউন পর্বে শারিরিক সমস্যা হওয়ায় তাঁকে তিনদিন আগে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ তিনি মারা যান। তারপরই করোনা আতঙ্কে গ্রামের এবং অন্যান্য শ্মশান ঘাটে দাহ সমস্যা দেখা দেওয়ায় পরিবারের লোকজন মৃতদেহ রেখেই বাড়ি চলে যান। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্যান্সারে মৃত মহিলার পরিবারের কেউ দাহ করার সমস্যার কথা জানায়নি।

