ASI, Birbhum, “সাংসদ শতাব্দী রায়ের সভায় ঝামেলার জন্য দায়ী ডিএসপি- ডিএনটি,” দাবি এএসআই রাজকুমার দাসের

আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, সিউড়ি, ২৯ নভেম্বর: সাংসদ শতাব্দী রায়ের সামনে বিক্ষোভ ও মারধরের ঘটনার দায় ডিএসপি ও ডিএনটি ট্রাফিকের। তিনি সব জানতেন। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির সঙ্গে যোগসাজস করে এসব করিয়েছেন। নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ করে জেলা পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সিউড়ি থানা থেকে বদলি হওয়া এক এএসআই রাজকুমার দাস। রাজকুমার দাসের এই বিস্ফোরক মন্তব্য অস্বস্তিতে ফেলেছে জেলা পুলিশকে। সেই সঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে পুলিশের আঁতাত প্রকাশ্যে এসেছে। বিজেপির দাবি, এটা বার বার বলা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। এবার সেই কথা এক পুলিশ অফিসার বলে ফেললেন।

প্রসঙ্গত, বীরভূমে ২০ নভেম্বর সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের গাংটে গ্রামে এসআইআর নিয়ে সভা ছিল বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ের। ওইদিন শতাব্দীর সামনেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। শতাব্দীর গাড়িতে থাকা তৃণমূলের কোমা অঞ্চল সভাপতি বলরাম বাগদিকে মারধর করে। শতাব্দীর গাড়ির নিচে এক মহিলা শুয়ে পড়ে গাড়ি আটকে দেন। এই ঘটনায় পুলিশ ছয়জনকে গ্রেফতার করে। ঘটনার পরেই সিউড়ি থানা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সঞ্চয়ন মিত্রকে। এনিয়ে পুলিশ মহলে গুঞ্জন শুরু হয়। সরানো হয় রাজকুমার দাসকেও। এতেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তিনি ফেসবুক বার্তায় বলেন, “শতাব্দী রায়ের ওই ঘটনা ঘটিয়েছে ডিএসপি-ডিএনটি (কুনাল মুখোপাধ্যায়)। উনি এসপি সাহেবের কাছে ভালো সাজার চেষ্টা করছেন। এসপি সাহেব কোনো কিছু যাচাই না করেই সিউড়ি থানার আইসি আর আমাকে বদলি করে দিয়েছেন। আমি সেদিন ঘটনাস্থলে ছিলামই না, আমার কাছে সমস্ত কল রেকর্ড রয়েছে ডিএসপি-ডিএনটির। যদি শাস্তি হয় তাহলে ডিএসপি-ডিএনটির হওয়া প্রয়োজন। তিনি ক্রিমিনাল।

তৃণমূল ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলামের কথায়, “শতাব্দী রায়ের সামনে ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। নুরুল ইসলামের কথায় যে লোক মারলো, ডিএসপি ডিএনটি গেল, তাদের কথায় গ্রেপ্তার করালো, তাদেরই কথায় সব হলো। সুতরাং শাস্তি হওয়া দরকার ডিএসপি ডিএনটির।”

প্রসঙ্গত, বীরভূমের ডিএসপি ট্রাফিক কুনাল মুখোপাধ্যায় দায়িত্বে রয়েছেন ডিএসপি- ডিএনটির। রাজকুমার দাসের এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার আমনদ্বীপ বলেন, ‘তার যা অভিযোগ রয়েছে তদন্ত করে দেখা হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *