আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ৫ আগস্ট: পানীয় জলের অভাবে সমস্যায় পড়েছেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী থেকে তাদের আত্মীয়রা। শুধু তাই নয়, সমস্যায় স্বাস্থ্যকর্মীরাও। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত জলের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। শৌচালয়ে জল না দেওয়ায় দুর্গন্ধে টেকা দায়। এর প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভ দেখান রোগীর আত্মীয়রা।
প্রথম থেকেই সমস্যায় জর্জরিত রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এক পশলা বৃষ্টি হলেই হাসপাতাল চত্বর ডুবে যায়। ফলে নোংরা জলের উপর দিয়ে হেঁটে হাসপাতালে ঢুকতে হয় রোগীর আত্মীয় থেকে চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীদের। সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান আজও করতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার কারণ গোঁড়ায় গলদ। নিকাশি ব্যবস্থা না করেই গড়ে তোলা হয়েছে ঝাঁ চকচকে হাসপাতাল। এবার পানীয় জলের সমস্যায় জেরবার রোগী থেকে তাদের পরিবার। সমস্যায় পড়েছেন চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরাও।
বুধবার বিকেল থেকে হাসপাতালে জলের সমস্যা দেখা দেয়। ফলে পানীয় জলের পাশাপাশি শৌচালয়েও জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। শৌচকর্ম সেরে জল না দেওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে বাইরে থেকে জল কিনতে হচ্ছে রোগীর আত্মীয়দের। শৌচালয়েও সেই জল দিতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীর আত্মীয়রা। পাপিয়া দত্ত নামে এক গৃহবধূর শ্বশুর ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। তিনি বলেন, “বুধবার থেকে জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। শৌচালয়ে ঢোকা যায় না। হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগে রাত থেকে দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলের অভাবে হাসপাতাল পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হচ্ছে না। নার্সদের বলতে গেলে তারা এম এস ভি পিকে দেখাচ্ছে। রাতে কোনও আধিকারিককে পাওয়া যায়নি। ফলে নরকযন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে।” এর প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভ দেখান রোগীর আত্মীয়রা।
হাসপাতালের এম এস ভি পি পলাশ মিত্র বলেন, “আমার কাছে খবর আছে মাঝ রাত থেকে জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের যে পাম্প বসানো হয়েছে তাতেই সমস্যা হচ্ছে। জলস্তর নেমে যাওয়ায় জল উত্তোলন করা যাচ্ছে না। আমরা অস্থায়ীভাবে জলের ব্যবস্থা করছি।”