আমাদের ভারত, ২১ জুলাই: প্রথম রাউন্ডের গণনা থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল কি হতে চলেছে। সেই সম্ভাবনাকে শেষ পর্যন্ত সত্যি করে বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে পরাজিত করে দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি হলেন দ্রৌপদী মুর্মু। রাইসিনা হিলসের মসনদে বসলেন দেশের প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি।
এমনিতেই সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল এনডিএ পদপ্রার্থী এগিয়ে থাকবে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে। ১৮ তারিখ ভোটের দিন ক্রসভোটিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। অন্যদিকে বিরোধী পদপ্রার্থী যসবন্ত সিনহা আবেদন জানিয়েছিলেন এটা শুধু রাজনৈতিক লড়াই নয় এটা তার কাছে আদর্শের লড়াই। আর সেই লড়াইয়ে অন্তরাত্মার ডাকে সাড়া দিয়ে তাকে ভোট দেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন তিনি।
দুই শিবিরই দাবি করেছিল ক্রস ভোট হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার গণনা শুরু হতে বোঝা যায় অনেকটাই এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু। প্রথম রাউন্ড শেষে দেখা যায় দ্রৌপদীর প্রাপ্ত ভোট ৫৪০ অন্যদিকে বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ২০৮টি ভোট পেয়েছেন। দ্বিতীয় রাউন্ডের গণনার শেষেও একইভাবে আধিপত্য বজায় রাখেন দ্রৌপদী।
নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয় ৯৯% সাংসদ বিধায়ক ভোট দিয়েছেন। চব্বিশে জুলাই শেষ হবে বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কার্যকালের মেয়াদ। পরের দিন ২৫ জুলাই শপথ নেবেন দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রথম থেকেই সরগরম ছিল দেশের রাজনীতি। প্রথমে মনে করা হয় বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলে প্রার্থী নির্বাচন করবে বিজেপি। বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব দেওয়া হয় রাজনাথ সিংকে। তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শারদ পাওয়ারের সহ হেভিওয়েট বিরোধী নেতাদের সঙ্গে কথা বললেও কাকে প্রার্থী চাইছেন তা জানাননি বলে অভিযোগ বিরোধীদের। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহাকে প্রার্থী ঘোষণা করে বিরোধীরা। তারপরই ছক্কা হাঁকিয়ে সেদিন রাতেই দ্রৌপদীকে মুর্মুকে প্রার্থী ঘোষণা করে বিজেপি।