করোনা সংকটে বিপন্ন নাট্যকর্মীরা, নাটকের মাধ্যমেই হলো প্রতিবাদ

জে মাহাতো, মেদিনীপুর, ২০ জুলাই: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারনে গভীর সঙ্কটের মুখে এই রাজ্যের সাংস্কৃতিক জগৎ। যদিও সরকার ইতিমধ্যে সিনেমা ও টিভির সিরিয়ালের কলাকুশলীদের জন্য মাসিক অনুদান, মেডিক্লেমসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধার কথা ঘোষণা করেছেন। কিন্তু রাজ্যের নাট্যকর্মী ও নেপথ্যের কলাকুশলীদের সম্পর্কে রাজ্য সরকার নীরব। অথচ একটা বড় অংশের নাট্যকর্মী নাটককে জীবিকা হিসেবে গ্রহণ করেছে। এখন বিপন্ন তাঁদের জীবন। যেহেতু নাট্যশিল্পী ও দর্শকের মধ্যে সরাসরি মাধ্যম। তাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে নাট্যশিল্পীদের ভবিষ্যৎ।

এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে কলকাতা সহ সব জেলার নাট্যকর্মীরা একজোট হয়ে ‘কথাবার্তা ‘ নামে একটা গ্রুপের মাধ্যমে পারস্পরিক আলোচনায় ৬ দফা দাবিপত্র মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের দপ্তরে জমা দিয়েছেন। সিদ্ধান্ত হয় ১৯ শে জুলাই এই ৬ দফা দাবি নিয়ে সারারাজ্যের নাট্যকর্মীরা পথে নামবেন। এই ৬ দফা দাবিতে রয়েছে নাট্যকর্মীদের মাসিক আর্থিক সহায়তা, মেডিক্লেম প্রদান, সরকারি প্রেক্ষাগৃহ এক-তৃতীয়াংশ ভাড়ায় নাট্যদলগুলিকে দেওয়া, নাট্যানুষ্ঠানের জন্য সরকারি জটিলতা সরলীকরণ করা, নাট্যকর্মীদের স্বরোজগার যোজনার মাধ্যমে ঋণের সুযোগ দেওয়া ও সর্বস্তরের শিক্ষাক্রমে নাট্যচর্চাকে যুক্ত করা।

এই দাবিগুলো কে সামনে রেখে মেদিনীপুর শহরের নাট্যদলগুলি সম্মিলিত ভাবে ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় কলেজ রোড ও অশোকনগরে দুটি পথসভা ও পথনাটক করে। বক্তব্য রাখেন শহরের বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রঘুনাথ ভট্টাচার্য ও পার্থ মুখোপাধ্যায়। দাবীগুলির সাথে সঙ্গতি রেখে নাটককার পিনাকী মজুমদারের পথনাটক ‘ আগুন জ্বালো’ পরিবেশিত হয়। দুপুর থেকে অবিরাম বর্ষনের পর সন্ধ্যায় পথচলতি উৎসুক মানুষ শুনেছেন নাট্যকর্মীদের বক্তব্য, সমর্থন জানিয়েছেন দাবিসমূহ, এমনকি পথসভার খরচ তুলতে যে যার মতো স্বেচ্ছায় অর্থ তুলে দেয় নাট্যকর্মীদের হাতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *