‘দুয়ারে পিজি হাসপাতালের ডাক্তার’ প্রকল্পের সূচনা হল কেশিয়াড়িতে

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ ফেব্রুয়ারি: দুয়ারে সরকারের পর এবার ‘দুয়ারে পিজি হাসপাতালের ডাক্তার’। আজ পশ্চিম মেদিনীপুর থেকেই শুরু হল প্রকল্প। বেছে নেওয়া হয়েছে জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত কেশিয়াড়ি ব্লককে। বুধবার সকাল ১০টায় কেশিয়াড়ির রবীন্দ্র ভবনে শিবিরের উদ্বোধন করলেন জেলাশাসক আয়েশা রানী এ। আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কেশিয়াড়ির দুই জায়গায় (রবীন্দ্র ভবন এবং খাজরা হাই স্কুল) এই শিবির চলবে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে, এসএসকেএম হাসপাতালের অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুপার পীযূষ রায় মঙ্গলবার এই প্রকল্পের সূচনা করার পরই দুপুরে বিশেষ বাসে করে পশ্চিম মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা ‌দিয়েছিলেন ৩৬ জন চিকিৎসক সহ নার্স, টেকনিশিয়ান সমেত ৪৫ জনের একটি দল। এর মধ্যে ১৪ জন বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছিলেন। ২২ জন ছিলেন পিজি বা এসএসকেএম হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক। মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ তাঁরা পৌঁছন পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি এসএসকেএমের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ওই হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রান্তিক এলাকায় পাঠাতে হবে, যাতে সেখানকার বাসিন্দারা ঘরের কাছেই উৎকর্ষ কেন্দ্রের চিকিৎসা পান। জুনিয়র ডাক্তাররাও বাইরের জগত সম্পর্কে জানতে পারবেন। তিনি এও জানান, যে সকল জুনিয়র চিকিৎসক এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করবেন, তাঁদের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। ‘পাইলট প্রজেক্ট’ হিসেবে ভিসি নেওয়া হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়িকে। কেশিয়াড়ি ব্লকের কেশিয়াড়ি রবীন্দ্র ভবনে এবং খাজরা হাই স্কুলে আজ (৮ ফেব্রুয়ারি) এবং আগামীকাল (৯ ফেব্রুয়ারি) দু’দিন ধরে এই শিবির চলবে।

শিবিরে মেডিসিন, শিশুরোগ, ত্বক, এন্ডোক্রনোলজি, কার্ডিওলজি, ইএনটি বা নাক-কান-গলা বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পরিষেবা দেবেন। এছাড়াও, জুনিয়র চিকিৎসক, ইন্টার্নরাও আছেন। ইসিজি, প্যাথলিক্যাল পরীক্ষার জন্য টেকনোলজিস্টদেরও পাঠানো হয়েছে। শিবির থেকেই ওষুধ দেওয়া হবে। প্রয়োজন হলে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে শুরু করে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার নির্দেশও দিতে পারেন চিকিৎসকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *