আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ২২ এপ্রিল: সারাবছর গরিব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে কোচিং দেওয়ার পাশাপাশি এই দুঃসময়ে ছাত্র-ছাত্রী ও অন্যান্য দরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়াল দুটি সংস্থা। একটি তমলুক শহরের দীর্ঘ দিনের সংস্থা “তমলুক বিদ্যাসাগর কৃষ্টি সম্মিলনী ” বিগত ৪০ বছর ধরে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ফ্রি কোচিং সেন্টার চালানোর সাথে সাথে নানান সমাজসেবামূলক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড করে থাকে। অন্যটি ময়না থানার অন্তর্গত নারিকেলদাহা গ্রামে নারিকেলদাহা জনজাগরন সংঘ।
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে নভেল করোনা ভাইরাসের আক্রমণ পর্যায়ে লকডাউনের দরুণ ‘দিন আনি দিন খাই ‘ গরিব মানুষ আজ অসহায়। তাই বিদ্যাসাগর কৃষ্টি সম্মিলনী তার মানবিক হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। নিজেদের সংস্থার ৪০ জন ছাত্রছাত্রীর পরিবারসহ ২২২ টি দুঃস্থ অসহায় পরিবারের হাতে আজ সংস্থার অফিস থেকে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। আজ তমলুক শহরের জেলা গ্রন্থাগারের সামনে সংস্থার অফিস ঘর থেকে এই ত্রাণ তুলে দেওয়া হয়।
কর্মসূচিতে উপস্থিত সংস্থার কর্মকর্তা অধ্যাপক সঞ্জীব কুইল্যা, শিক্ষক বাসুদেব দাস, সমাজসেবী প্রণব মাইতি প্রমূখ জানান যে, ”সারা বছর ধরে আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের বিনা ব্যয়ে এখানে পড়াশোনার সুযোগ করে দিই। বর্তমানের এক দুর্বিষহ পরিবেশে নানান মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে এই ২২২টি পরিবারের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিলাম।”
অন্যদিকে ময়না থানার অন্তর্গত নারিকেলদাহা গ্রামে নারিকেলদাহা জনজাগরন সংঘের পক্ষ থেকে আজ সকালে গ্রামের ১০০ দুঃস্থ পরিবারের মধ্যে করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে কিছু খাদ্য সামগ্রী তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রত্যেক পরিবারকে ২.৫ কেজি আলু, ১কেজি ডাল, ১কেজি পিঁয়াজ, ৫০০ তেল, ২০০ সয়াবিন, ২০০গ্রাম বিস্কুট, ১ টি ডেটল সাবান দেওয়া হয়।
সংস্থার সম্পাদক ও শিক্ষক শুভেন্দু জানা ও সভাপতি ডাঃ শিবনারায়ণ রায় জানান, ”আমরা বছরভর বিনে পয়সায় ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো থেকে শুরু করে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে থাকি। বর্তমানে এই লকডাউন এর মধ্যে আজকে ১০০টি পরিবারের হাতে এই দান সামগ্রী তুলে দিয়েছি, তাদের অসহায় পরিস্থিতিতে।”