আমাদের ভারত, কলকাতা, ৫ জানুয়ারি: পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘন্টা শুনতে পাচ্ছেন ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? শুক্রবার দুপুরে এক্স হ্যান্ডেলে এই প্রশ্ন করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার।
উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ইডি অফিসারদের ওপর হামলার ঘটনায় আহত কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্মীর ছবি-সহ সুকান্তবাবু লিখেছেন, “এতদিন আপনার মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীবাহিনীর নির্যাতনে শুধু বাংলার সাধারণ জনগণ অসহায় ছিলেন, কিন্তু আজ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেও রোহিঙ্গাদের হাতে নিগৃহীত হতে হলো। এর পরেও কি লজ্জা হবে না আপনার?”
শুক্রবার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে হানা দিতে গিয়ে স্থানীয়দের রোষের মুখে পড়ে ইডি অধিকারিকরা। মারমুখী জনতার চাপে পিছু হটতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির আধিকারিকদের। ঘিরে ধরে ইডি অফিসারদের ব্যাপক মারধর করা হয়। তাদের মধ্যে তিনজন আধিকারিককে সল্টলেকে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শাজাহান সেখের অনুগামীরা। বেশ কয়েকটি রাস্তায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করা হয়। ইডি অফিসাররা পালিয়ে প্রাণে বাঁচে। সংবাদমাধ্যমের কর্মীদেরও ব্যাপক মারধর করা হয়। তাঁদের গাড়ি, ক্যামেরা ভাঙ্গচুর করা হয়। আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানরাও পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন।

