সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৪ নভেম্বর: খাদ্য নালীতে অস্ত্রপ্রচার করে এক কিশোরীর জীবন বাঁচালেন সরকারি হাসপাতের চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত গর্ভমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে খাদ্যনালীতে জটিল অস্ত্রপ্রচার সফল হল। এতে বিস্তীর্ণ এলাকার সাধারণ রোগীদের মধ্যে সরকারী হাসপাতালের উপর আস্থা বাড়লো।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বছর ১৪-র সাবানা খাতুন প্রণয় ঘটিত কারণের জন্য অ্যাসিড খেয়ে আক্রান্ত হয়েছিল মাস তিনেক আগে। এরপর থেকেই তাঁর খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যা খাচ্ছিল সেটি বমি হয়ে যাচ্ছিল। আরজিকর সহ বিভিন্ন ম্যাডিকেল কলেজ ঘুরেও কোনো সুরাহা হয়নি। এরপর একমাস আগে বারাসাত গর্ভমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সার্জিকাল বহিঃ বিভাগে চিকিৎসার জন্য আসে তার পরিবার। নানারকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর শল্য চিকিৎসক অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর অলোক কুমার মৌলিক সাবানা’কে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেন। একপ্রকার ঝুঁকি নিয়েই বারাসাত
গর্ভমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক অলোক কুমার মৌলিকের নেতৃত্বে এই ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার সফল হয়। এই ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচারে সঙ্গে ছিলেন ডাঃ নিলয় নারায়ণ সরকার ও শেখ মনিরুজ জামান সহ প্রমুখ।
এ বিষয়ে চিকিৎসক অলোক কুমার মৌলিক জানান, বাচ্চা মেয়েটি অ্যাসিড খাওয়ার পরে ২ মাস হয়েছে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়। পাকস্থলীর মধ্যে খাদ্য যাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমি সেটিকে অস্ত্রপ্রচার করে পাকস্থলী থেকে অন্ত্রের সঙ্গে খাদ্য যাওয়ার বিকল্প রাস্তা করে দিলাম। এই অপারেশনটি করতে প্রায় চার ঘন্টা সময় লেগেছে। এদিন রোগীর পরিবারের তরফে ধন্যবাদ জানানো হয় চিকিৎসকদের।