রাজেন রায়, কলকাতা, ৩০ অক্টোবর: বর্ষা বিদায় নিতেই পশ্চিমবঙ্গে বাতাসে বাড়তে শুরু করেছে দূষণের মাত্রা।বাতাসে ২০০-র ওপরে পিএম ২.৫’র মান থাকলে তা শ্বাস নেওয়ার জন্য বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। সেখানে কলকাতা ও আশেপাশের এলাকাগুলিতে গত কয়েকদিন ধরে পিএম ২.৫’র মান ১০০–২০০-র মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। লকডাউনে দূষণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বর্ষা থামার পর তো দূষণ বাড়ছেই, তার মধ্যে দীপাবলি আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
বাজির ধোঁয়ায় কোভিডে মৃত্যুর হার অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। এই কারণ উল্লেখ করেই এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিল ডক্টরস ফোরাম।
এর আগে করোনা সংক্রমণের সুনামির আশঙ্কা করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম সংগঠনের চিকিৎসকরা। তাদের সেই আশঙ্কা যে সম্পূর্ণ অমূলক নয়, তা ইতিমধ্যেই কিছুটা প্রমাণিত হয়েছে। এবার দীপাবলির ধোঁয়া যাতে কোভিড রোগীদের শ্বাসকষ্টের কারণ না হয়, দূষণহীন দীপাবলির অনুমতি চেয়ে চলতি বছরে বাজি বন্ধের ফের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন চিকিৎসকদের সংগঠন। তবে বাজির ধোঁয়া কখনই শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে না, এমনটাই দাবি বাজি ব্যবসায়ীদের।
সারা বাংলা আতসবাজি কমিটির চেয়ারম্যান বাবলা রায় বলেন, ” ৭ লক্ষ পরিবার এই শিল্পের সাথে যুক্ত। শুধু দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এতে ২ লক্ষ পরিবার এই আতসবাজি তৈরি করে। সুপ্রিম কোর্ট চায় না বাজি শিল্প বন্ধ হোক। বাজির ধোঁয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে, এমন কোনও পরীক্ষিত তথ্য নেই। ষড়যন্ত্র করে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজনকে ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে।’