আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ১৯ এপ্রিল: নন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষদের চিকিৎসার পর প্রয়োজনীয় পোশাক প্রকাশ্যে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাঁচ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরে জানান হবে বলে জানিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি।
জানা গিয়েছে, বিভিন্ন এলাকার বেশ কিছু মানুষকে আটক করে রাখা হয় তারাপীঠ সংলগ্ন রামপুরহাট থানার একটি বিলাসবহুল হোটেলে। রবিবার সকালের দিকে থার্মাল গান নিয়ে তাদের স্কিনিং টেস্ট করতে যান রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাঁচ চিকিৎসক। বিভিন্ন ঘর ঘুরে ঘুরে স্কিনিং টেস্ট করার পর ফেরার সময় পরনের প্রয়োজনীয় পোশাক প্রকাশ্যে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের বচসা বাধে। খবর পেয়ে সেখানে যান রামপুরহাটের মহকুমা শাসক, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি, ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্ট। তাঁরা চিকিৎসকের এহেন কাজের নিন্দা করেন।
যদিও অভিযুক্ত চিকিৎসক সমীর কুমার সিনহা বলেন, “আমরা ইচ্ছা করে প্রকাশ্যে পোশাক ফেলিনি। আমরা গোটা হোটেল ঘুরে ঘুরে প্রত্যেকের স্কিনিং টেস্ট করেছি। পুলিশকে বলেছিলাম দুজনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশের লোকজন নতুন ডিউটি নেওয়ায় তারাও কিছু বলতে পারছিল না। সেই দুজনকেও আমরা হোটেলের উপর ঘর থেকে খুঁজে বের করে তাদের স্কিনিং টেস্ট করা হয়েছে। বাকি ছয়জন মানুষের চিকিৎসা আমাদের করতে বারণ করেন কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার। তিনি জানান ওই ছয়জন জনেরই বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন। তাদের চিকিৎসা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিজে সিদ্ধান্ত নিয়ে করাবেন। ফলে আমরা ওই ছয়জনের চিকিৎসা না করে বাইরে বেরিয়ে পোশাক কোথায় ফেলব জিজ্ঞাসা করি। কিন্তু পুলিশ অফিসার কিছু বলতে পারেননি। ফলে ওই পোশাক পড়ে আমরা গাড়িতে না উঠে হোটেলের বাইরে ডাস্টবিনে ফেলে দিই। আর যার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে তিনি মহকুমা শাসক না মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জানি না। তিনি তো পরিচয় দিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলেননি”।
রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্ট শর্মিলা মৌলিক বলেন, “ব্যবহার করা পোশাক এভাবে ফেলে রাখা ঠিক হয়নি। খবর পেয়ে আমি নিজে এখানে এসেছি। যারা একাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনভঙ্গের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জানানো হবে”। পরে অবশ্য হাসপাতালে ডোম এসে ওই পোশাক উদ্ধার করে নষ্ট করে দেয়।