আমাদের ভারত, ২৪ জানুয়ারি: দিদির দূতদের নিয়ে জেলায় জেলায় ক্ষোভ বাড়ছে। আর তার সাথেই বাড়ছে শাসক দলের অস্বস্তি। তারকা, সাংসদ, বিধায়ক থেকে শুরু করে নেতা, মন্ত্রী সকলকেই সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্যকে গ্রামবাসীরা গ্রামে ঢুকতেই দেয়নি। এই সমস্ত ঘটনা বিজেপির হাতে সহজেই সমালোচনার হাতিয়ার তুলে দিয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, সাধারন মানুষ ঝাঁটাপেটা করছেন দিদির দূতেদের। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ওনারা ভেবেছিলেন চোখ দেখিয়ে আঙ্গুল দেখিয়ে যেরকম চলছে সেরকমই চলবে। কিন্তু সেরকম হচ্ছে না।
মানুষের কথা শুনতে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের তরফে দিদির সুরক্ষা কবচ ও দিদির দূত কর্মসূচি শুরু হয়েছে। মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন নেতা-মন্ত্রী সাংসদ বিধায়ক ও জেলা স্তরের নেতারা। আর সেখানে গিয়েই মানুষের চুড়ান্ত ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। যদিও বিষয়টিকে ঢাকতে তৃণমূলের তরফে বলা হচ্ছে মানুষ নিজেদের অভাব অভিযোগের কথাই জানাচ্ছেন। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, কেউ তার অভাব অভিযোগের কথা বললে সেটাকে ক্ষোভ বলা যায় না। এই সরকারের কাছ থেকে মানুষের প্রত্যাশা এতটাই বেড়ে গেছে, যে সমস্ত পরিষেবা পাওয়া সত্ত্বেও আরো কিছু হোক তারা চাইছে।
কিন্তু এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষের সুরে বলেন, “সব জায়গাতেই এটা হবে ও হচ্ছেও। গ্রামের মানুষ এই দিদির দূতেদের ঝাঁটা পিটিয়ে বিদায় করছেন। এরপর গাধার পিঠে চড়িয়ে ঘোল ঢেলে বিদায় করবে। ২০১৮ সাল থেকে যেভাবে পঞ্চায়েতের লুট হয়েছে বলার নয়। অধিকাংশতেই তৃণমূল জেতেনি, লুট করেছে। এরপরই এই ভুয়ো প্রধানরা চুরি করেছে।
অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, আঙুর ফল টক। ওনারা ভেবেছিলেন চোখ দেখিয়ে আঙ্গুল দেখিয়ে যেরকম চলছে, সেরকমই চলবে। সেটা হচ্ছে না।” দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন করেন,” উনি( মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বলেছেন ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকা উচিত। তাহলে অম্বিকেশ মহাপাত্রকে জেলে ঢুকিয়েছিলেন কেন? উনি তো একটা কার্টুন শেয়ার করেছিলেন।”