মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়স বাড়ুক চায় না মুসলিম লিগের শাখা, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আর্জি জানালো মহিলা শাখা

আমাদের ভারত, ২৫ অক্টোবর: কেন্দ্রীয় সরকার মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়স নিয়ে পুনর্বিবেচনা করছে। কিছুদিন আগেই সেই কথা জানিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই। মেয়েদের বিয়ের বয়সের সময়সীমা ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু মুসলিম লিগের মহিলা শাখার তরফের প্রধানমন্ত্রীকে এই বিষয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয়েছে, যেন হঠাৎ করে এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়।

মুসলিম লিগের মহিলা শাখার সম্পাদক পিকে নুরবানা রশিদের দাবি, হঠাৎ করে মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়স ২১ বছর করা হলে, লিভ ইন বা অবৈধ সম্পর্কের সংখ্যা বাড়তে পারে সমাজে। এতে সামাজিক অবক্ষয়ের সম্ভাবনাও প্রবল হবে। নুরবানার আরও দাবি, এদেশে গ্রামীণ এলাকায় এখনও ৩০% মেয়ের বিয়ে হয়ে যায় ১৮ বছরের আগে। সেক্ষেত্রে সরকার হঠাৎ করে কোনও নতুন সিদ্ধান্ত নিলে আখেরে লাভ হবে না। বরং ১৮ বছরের আগে মেয়েদের বিয়ে আটকানোর জন্য কড়া আইন প্রণয়নের দাবি করেছেন তিনি।

একটি সমীক্ষার রিপোর্ট তুলে ধরে তার দাবি, শুধুমাত্র কেরলে ২০১৯ সালে ১৮ বছর হওয়ার আগেই ৩০০-র বেশি মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মেয়েদের নূন্যতম বিয়ের বয়স ১৮ করা হলেও অনেকেই সেই আইন মানছে না। ফলে নতুন করে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত বদলে কোনও লাভ হবে না।

কিন্তু অন্যদিকে জয়া জেটলির নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র সরকার। সেই কমিটির পরামর্শ দিয়েছে, এদেশের মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়স যেন ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করা হোক। কিন্তু মুসলিম লিগের মহিলা শাখার সম্পাদক দাবি করেছেন সিদ্ধান্ত বদলের আগে সরকার যেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে। তবে মুসলিম লিগ জানিয়েছে, মহিলা শাখার এই মতামত তাদের একান্ত ব্যক্তিগত, এর সাথে মুসলিম লিগের মতামতের কোনো সম্পর্ক নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *