যে জেলা শাসক উত্তর প্রদেশের ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি দিয়েছে তার ফাঁসি হওয়া উচিত: অনুব্রত

আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ৩ অক্টোবর: যে জেলা শাসক উত্তর প্রদেশের ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি দিয়েছে তার ফাঁসি হওয়া উচিত। শনিবার বীরভূমের মুরারই ১ নম্বর ব্লকের কাহিনগর গ্রামে অঞ্চল ভিত্তিক বুথ কর্মী সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে একথা বলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেই সঙ্গে কৃষি বিলের বিরোধিতা করেন তিনি।

শনিবার মুরারই ১ নম্বর ব্লকের চাতরা, ডুমুরগ্রাম ও পলশা অঞ্চলের ভিত্তিক বুথ কর্মী সম্মেলনে ছিল। সেখানে সাংবাদিক সম্মেলনে অনুব্রত বলেন, “এখনো পর্যন্ত উত্তর প্রদেশে ২৪০ জন মহিলা ধর্ষিতা হয়েছেন। যার একটাও সাজা হয়নি। হাথরসে ধর্ষিতার পরিবারকে জেলা শাসক হুমকি দিয়েছে। গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না  সাংবাদিকদের। ওই জেলা শাসকের ফাঁসি  হওয়া উচিত। আর যোগী আদিত্য টুইটারে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথা বলছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তার একটিও সাজা হয়নি”।

বুথ ভিত্তিক সম্মেলনে অঞ্চল ও বুথের কর্মীদের লোকসভার ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন করেন। চাতরা অঞ্চলের ১১৯ নম্বর বুথ কপিল শহর গ্রামের বুথ সভাপতি মানিক শেখকে হারের কারণ জানতে চান অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, “হিন্দুরা সব বিজেপিকে ভোট দিয়েছে”। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ব্লক সভাপতিকে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “এরপর হিন্দু মুসলিম কথা বললে ওকে সরিয়ে দাও”। ভুমুর গ্রাম অঞ্চলের ১০০ নম্বর বুথ সভাপতিকে অনুব্রত জিজ্ঞাসা করেন সিপিএমের ভোট এতো কেন হল? তাদের কি দলে টানতে পারছেন না? বুথ সভাপতি বলেন, “সকলেই আমাদের সঙ্গে থেকেছে। ঘুরেছে। কিন্তু ভোট দিয়েছে সিপিএমে। বিষয়টি আমি অঞ্চল সভাপতিকে জানিয়েছি”।

এর পরেই অনুব্রত বলেন, “আপনি ছেড়ে দিন। রোগ হলে রোগের ওষুধ আছে। সেটা আমি ব্লক সভাপতিকে বলে দেব”। পলসা অঞ্চলের ৮৩ নম্বর বুথ সভাপতি অলোক কুমার মণ্ডল বলেন, “ভোটের সময় ৮০ কেজি মুড়ি ও ৪০ কেজি ঘুগনি খাওয়ানো হয়েছিল। তারপরও মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। তাই আমরা ৫৫০ ভোটে হেরেছি”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *