পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠনে বিধায়ককে প্রাধান্য না দেওয়ায় হরিরামপুরে বেকায়দায় জেলা তৃণমূল সভাপতি! চাপে পড়ে দলকে বিরত থাকার পরামর্শ মৃণালের

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ৯ সেপ্টেম্বর: হরিরামপুরে পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে অস্থিরতা। বিধায়ককে প্রাধান্য না দিয়ে বোর্ড গঠন করতে গিয়ে বেকায়দায় জেলা তৃণমূল সভাপতি। শনিবার দুপুরে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুরে। এদিকে এই ঘটনার আঁচ পেয়ে আগে থেকেই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছিল বিরাট পুলিশ বাহিনী। যদিও জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকারের অভিযোগ, দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কাজ করেছে হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রেমচাঁদ নুনিয়া। মৃণাল সরকারের তোলা সমস্ত অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।

জানা যায়, শাসক দল তৃণমূলের এককভাবে দখল করা হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির এদিন ছিল স্থায়ী সমিতি গঠনের নির্ধারিত দিন। যাকে ঘিরে সকাল থেকেই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিশ কর্মীকে। বেলা বাড়তেই ওই পঞ্চায়েত সমিতির নয়টি স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে শুরু হয় চরম অস্থিরতা। এলাকার বিধায়ক তথা বিপ্লব মিত্রের অন্যতম খাসতালুক হরিরামপুরে এদিন পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠন করতে ছুটে গিয়েছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার, চেয়ারম্যান নিখিল সিংহ রায় ও যুব তৃণমূল সভাপতি অম্বরিশ সরকার। অভিযোগ, যেখানে বিধায়ক গোষ্ঠীকে প্রাধান্য না দিয়ে স্থায়ী সমিতি গঠন করতে যেতেই বেকায়দায় পড়েন জেলা তৃণমূল সভাপতি। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতির চাপে পড়ে সমস্ত প্রক্রিয়া থেকে দলকে বিরত থাকবার কথা বললেও জেলা সভাপতির কথায় তেমন কাউকেই কর্ণপাত করতে দেখা যায়নি এদিন। সুত্রের খবর অনুযায়ী, ১৮ সদস্য বিশিষ্ট ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে জেলা সভাপতির কথায় মাত্র ৬ জন সদস্যই এদিন ওই স্থায়ী সমিতি গঠন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেননি। যা নিয়েই হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রেমচাঁদ নুনিয়ার বিরুদ্ধে দল বিরুদ্ধ কাজের অভিযোগ তুলেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার। যদিও প্রেমচাঁদ নুনিয়ার দাবি, সুষ্ঠুভাবেই এদিন পঞ্চায়েত সমিতির নয়টি স্থায়ী সমিতি গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, জেলার অন্যান্য পঞ্চায়েত সমিতি গুলির মতো দলের নির্দেশ অনুযায়ী এখানেও স্থায়ী সমিতি গঠনের নির্দেশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এলাকার বিধায়কের প্যাডে লেখা কিছু নাম সামনে আনতেই বেশকিছু সদস্য বাইরে বেরিয়ে আসে। দলের সিদ্ধান্ত না মেনে দল বিরুদ্ধ কাজ করেছে সভাপতি প্রেমচাঁদ নুনিয়া। যার কর্মকান্ড নিয়ে দলকে রিপোর্ট করা হয়েছে। তারা বিরত থেকেছেন এদিনের এই স্থায়ী গঠনের প্রক্রিয়া থেকে।

হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রেমচাঁদ নুনিয়া জানিয়েছেন, ঝামেলার কোনো বিষয়ই এখানে নেই। পঞ্চায়েতের ১৮ জন সদস্যই তৃণমূলের। সুষ্ঠু ভাবে এদিন নয়টি স্থায়ী সমিতি গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *