আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ৮ এপ্রিল: লকডাউনের কারণে অনেক দিনমজুর পরিবারের দুবেলা অন্ন সংস্থান হচ্ছে না। অসহায় হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তারা। এমনই বেশ কিছু পরিবারের হাতে চাল, ডাল, তেল, বিস্কুট সহ রান্নার সামগ্রী তুলে দিল জামায়াতে ইসলামি হিন্দ, আনন্দ আগরওয়াল নামে এক বস্ত্র ব্যবসায়ী এবং মল্লারপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নইসুভা। বুধবার সকালে রামপুরহাট হাসপাতাল পাড়ার নবপল্লি এলাকায় জামায়াতে ইসলামি হিন্দ তাদের নিজস্ব অফিস থেকে ওই সাহায্য তুলে দিয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি আমিন আহমেদ বলেন, “বেশ কিছু অসহায় মানুষ আমাদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে আমরা তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। আগামী দিনে আরও কিছু মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছে রয়েছে।
অন্যদিকে, রামপুরহাট থানার বড়পাহাড়ি পাথর শিল্পাঞ্চলের বেলিয়া ও পাথরা গ্রামের ৬৭ টি আদিবাসী পরিবারকে শুকনো খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন আনন্দ আগরওয়াল নামে এক বস্ত্র ব্যবসায়ী। এই সব গ্রামের আদিবাসী মানুষরা প্রধানত পাথরভাঙা মেশিন কিংবা খাদানে কাজ করে দৈনন্দিন জীবন যাপন করেন। লকডাউনের ফলে সমস্ত পাথরভাঙ্গা মেশিন, খাদান বন্ধ। সরকারি সহায্য ঠিক ভাবে সব জায়গায় এখনো পৌঁছায়নি। খবর পেয়ে ওই গ্রাম গুলিতে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে পৌঁছে যান রামপুরহাট শহরের বস্ত্র ব্যবসায়ী নিউ শ্রীলক্ষী ষ্টোরের কর্ণধার আনন্দ আগারওয়াল। তিনি বলেন, “এটাই মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময়। আমি সাধ্যমত করে যাচ্ছি। এখনও চালিয়ে যাব”।
একইভাবে ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর ব্লকের কানাচি গ্রাম পঞ্চায়েতের গুরুচন্দ্রপুর, তালোয়া পঞ্চায়েতের আড়াল এবং মল্লারপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মেটেলডাঙ্গা আদিবাসী গ্রামে শুকনো খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নইসুভা। সংস্থার সম্পাদক সাধন সিনহা বলেন, “দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘গুঞ্জ’য়ের নির্দেশে আমরা ৭১ টি পরিবারের হাতে ১০ কেজি চাল ২ কেজি ডাল, ৫ কেজি আলু, তেল, লবন, হলুদ, সাবান ও মাস্ক তুলে দিয়েছি। অধিকাংশ তফসিলি এবং আদিবাসী পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে”।