আমাদের ভারত, মালদা, ১০ আগস্ট: কয়েকদিন আগেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, তিনি একাই দলকে ক্ষমতার আসনে বসাবেন। আজ সেই দিলীপ ঘোষই সাংগঠনিক শক্তির কথা বললেন। শুধু তাই নয়, দলের সাংগঠনিক শক্তি যে অনেক কমেছে তাও স্বীকার করলেন। এমন কী সব বুথে কমিটিই তৈরি করতে পারেননি। তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে দলের শক্তি বাড়ানোর কথাও বললেন। তবে, দলের সাংগঠনিক শক্তি কমার জন্য তিনি শাসক দলের পেশি শক্তিকে দায়ী করেছেন।
আজ সকালে উত্তর দিনাজপুর যাওয়ার আগে মালদা জেলার ইংরেজবাজার পুর এলাকার টাউন হলের সামনে প্রাতঃভ্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।এলাকার এক চায়ের দোকানে বসে জমাটি আড্ডা দিলেন। কথা বললেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পথ চলতি জনগণের সাথে সরাসরি যোগাযোগের জন্য এই চা চক্র। সাধারণমানুষ নেতাদের সহজে পান না, তাই আমি যে এইভাবে সাধারন মানুষ সঙ্গে মিশি এটা তারা গ্রহণ করেছেন এবং আমার সঙ্গে কথা বলেন।

এর পরেই তিনি দলের সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে স্বীকার করেন, রাজ্যে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি কমেছে। বহু এলাকায় বুথ কমিটিই তৈরি করতে পারেননি। বিশেষ করে সংখ্যালঘু এলাকায় তারা সেভাবে দাঁত ফোঁটাতে পারেননি। এর কারণ হিসেবে তিনি শাসক দলের চোখরাঙানিকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের শাসকদলের চোখ রাঙানির জন্য সাংগঠনিক শক্তি কিছুটা কমেছে। শাসকদলের ভয়ে অনেকে ইচ্ছা থাকলেও আসতে পারছেন না। তাই সংখালঘু বহু এলাকায় এখনও বুথ কমিটি করতে পারেনি বিজেপি। তবে, চেষ্টা চলছে বলে জানান।
দলের সাংগঠনিক শক্তি কমার জন্য শাসকদেলের পেশিশক্তির পাশাপাশি লকডাউনের প্রভাবকেও দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, লকডাউনে কারণে তিন চার মাস ধরে রাজ্য নেতারা বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে পারছেন না। সেইজন্য জেলার নেতাকর্মীরা কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তবে নতুন উদ্যমে আবার কাজ শুরু হয়েছে। আত্মনির্ভর ভারত গড়ার কাজ প্রশিক্ষণ চলছে। এছাড়া নতুন করে তিন কোটি সদস্য সংগ্রহ করা হবে, তার পরিকল্পনা তৈরি হয়ে গেছে। তিনি আশাবাদী সংগঠনকে আবার মজবুত জায়গায় দাঁড় করানো যাবে।

