কেশপুরে পরিবর্তন যাত্রায় পাঁচ বছর সময় চাইলেন দিলীপ ঘোষ

জে মাহাতো, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ ফেব্রুয়ারি: রবিবার পরিবর্তনের রথ চন্দ্রকোনার গাছশীতলা মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে বেড়িয়ে কেশপুর ব্লকের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে পাছখুরি হয়ে কেশপুর বাজারে এসে পৌঁছেছে। পরিবর্তন যাত্রার রথ দেখতে সেখানে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন। কেশপুরের খেতুয়া থেকে বাইক র‍্যালির মাধ্যমে বিজেপি কর্মীরা পাছখুরি বাজার এলাকায় রথকে স্বাগত জানান। এদিন কেশপুর উত্তর মন্ডলের পক্ষ থেকে পাছখুরি বাজার এলাকায় একটি পথ সভারও আয়োজন করা হয়।পথসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদিকা লকেট চট্টোপাধ্যায়, সম্পাদক তুষার মুখার্জি, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্য, জেলার সাধারণ সম্পাদক তন্ময় দাস ও কেশপুর বিধানসভার কনভেনার অজয় কৃষ্ণ প্রধান, কেশপুর উত্তর মন্ডলের সভাপতি প্রবীণ হালদার সহ অন্যান্যরা।

কেশপুরের পরিবর্তন যাত্রায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, রাম নামে সমস্ত দলের কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন দিদির দূত বেড়িয়েছে। তৃণমূলের সেইসব দূত যখন আপনাদের পাড়ায় যাবে তখন আপনারা ঝাঁটা নিয়ে বিতাড়িত করে পশ্চিমবাংলা থেকে তৃণমূল নামক লিমিটেড কোম্পানিকে উৎখাত করেবেন। এদিন রাস্তাঘাট উন্নয়ন সহ কৃষকদের উন্নয়ন করার লক্ষ্যে কার্যত বিজেপিকে রাজ্যে নিয়ে আসার আহ্বান জানান দিলীপ ঘোষ।

কেশপুর বাজারে তাঁর বক্তব্যে কার্যত তৃণমূল কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভোটের দিন যে সমস্ত দিদির চামচারা ভয় দেখিয়ে ভোট লুট করতে আসবে তারা যেন বাড়িতে বলে আসে তাদের আর ফেরা নাও হতে পারে।

রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, যখন  ২০১১তে তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছিল তখন যা দেনার পরিমাণ ছিল, তার থেকে ১৫০গুণ বেশি এই সরকার ১০ বছরে দেনা করেছে। তিনি বলেন, যে বাংলার স্বপ্ন স্বামী বিবেকানন্দ, সুভাষচন্দ্র বসুরা দেখেছেন, সেই স্বপ্ন সত্যি করতে একবার বিজেপিকে পাঁচ বছরের জন্য সুযোগ দিন, যদি দেখেন আমরা কাজ করতে পারলাম না তখন আপনারা আবার পাল্টে দেবেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূলকে তো আপনারা ১০ বছর সুযোগ দিয়েছেন, দয়া করে ৫ বছর ভারতীয় জনতা পার্টিকে সুযোগ দিন।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর কয়েক বছর কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কেশিয়াড়িতে পঞ্চায়েত সমিতি গঠন না করতে দেওয়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দিলীপ ঘোষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *