৬ মাস পর বিজেপির সরকার আসলে দেখা যাবে চামচা পুলিশ অফিসারদের চচ্চড়ি করব না ঝোল করব?: দিলীপ ঘোষ

আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১২ সেপ্টেম্বর: উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে চা চক্রে যোগ দিতে এসে পুলিশের তীব্র সমালোচনা করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কামারহাটির ভূমি পুত্র বিজেপি নেতা রাজু বন্দোপাধ্যায়ের ডাকে শনিবার সকালে কামারহাটির বাদামতলা এলাকায় চা চক্রে যোগ দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই চা চক্রে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস দক্ষ পুলিশ আধিকারিকদের কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠিয়েছে আর যারা তৃণমূলের চামচা তাদের বিভিন্ন পদে বসানো হয়েছে। ৬ মাস পর বাংলায় বিজেপির সরকার আসলে দেখা যাবে এদের চচ্চড়ি করব না ঝোল করব?

“পুলিশ দিদির প্রিয় হতে পারে, আমাদের প্রিয় না। এই পুলিশ তৃণমূলের পুলিশ, এই পুলিশ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ নয়। এই পুলিশ বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের জেলে ঢোকাচ্ছে, বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ডাকাতির কেস দিচ্ছে। কেন বাংলায় বিজেপি পার্টি করা কি অপরাধ? সেই জন্য আমি বলেছিলাম এই সব অত্যাচারী পুলিশ অফিসারদের নাম লিখে রাখুন। এখন থানার যত আই সি, ও সি আছে সবাই তৃণমূলের চামচা। এখন এদের নাম লেখা থাকুক, ৬ মাস পর বাংলায় বিজেপির সরকার আসলে দেখা যাবে এদের চচ্চড়ি করব না ঝোল করব? প্রশাসনের দক্ষ আই পি এস আধিকারিকদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না, তাদের কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হয়েছে। বহু ডব্লিউ বি সি এস অফিসারকে বসিয়ে রাখা হয়েছে, অনেকে আমাকে ফোন করে তাদের দুঃখের কথা বলেন। বাড়ির বাইরে বেরতে পারে না ওরা লজ্জায়। ওদের মানুষ জিজ্ঞেস করে আপনাকে কি সাসপেন্ড করা হয়েছে? এখন যারা কাজ করছে সব অজা গজা অফিসার। যারা তোলা তুলে তৃণমূলকে খুশী করতে পারে, তারাই এখন তৃণমূলের রাজত্বে দক্ষ পুলিশ। মাঝে মাঝে দিদিমণি মায়া কান্না কাঁদেন, দিদিমণির লজ্জা থাকা উচিত। তৃণমূলের একটাই উদ্দেশ্য যে কোনও ভাবে বিজেপি কর্মীদের হেনস্থা করা। কিন্তু বাংলার মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। আর ৬ মাস পর এই সরকার আর থাকবে না। স্বচ্ছ বিজেপির সরকার হবে। তৃণমূলের ছোট থেকে বড় সব নেতাই দুর্নীতিতে জড়িত। আমার বিরুদ্ধে গলা তুলে কেউ বলতে পারবে না কারুর একটা পয়সা নিয়েছি। তাই পুলিশ কর্মীদের প্রতি মাঝে মাঝে দুঃখ হয়। এরা উর্দি না পরে শাড়ি পড়তে পারে! এরা সবজি বিক্রি করলে মাথা উঁচু করে অন্তত ব্যবসা করি বলতে পারবে। এদের ছেলে মেয়েরা যখন কাউকে বলে আমার বাবা পুলিশ, সবাই অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করে তোমার বাবা পুলিশ? সমাজ বন্ধু হতে পারেনি তৃণমূলের এই পুলিশ।” এভাবেই বাংলার পুলিশের তীব্র সমালোচনা করলেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটির বাদামতলা এলাকায় চা চক্রে যোগ দিতে এসে এভাবেই বর্তমান পরিস্থিতিতে এরাজ্যের পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন দিলীপ ঘোষ। এদিন চা চক্রে উপস্থিত রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে কামারহাটি বিধানসভা এলাকায় অন্তত ৫০০ জন বিরোধী দলের কর্মী ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন। কামারহাটির এই চা চক্রে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দোপাধ্যায়, কলকাতা উত্তর শহরতলীর বিজেপি জেলা সভাপতি কিশোর কর সহ স্থানীয় অন্যান্য বিজেপি কর্মীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *