আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ২ অক্টোবর: শুক্রবার বিকেলের পর সবং ব্লকের বুড়ালে বিজেপির এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্য সরকারের কৃষি আইনের বিরোধিতার তীব্র সমালোচনা করেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, এরাজ্যে কৃষকদের বিভিন্নভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে। চাষিদের ধানের দাম ১৮৫০ টাকা করা হলেও চাষিরা তা পাচ্ছেন না। তারা ১৪৫০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। মাঝখানে তৃণমূলের বসে থাকা দালালরা গরিব কৃষকের ধানের দামের বাকি ৪০০ টাকা পকেটে ভরছে। চাষিরা যাতে কোনও ভাবেই এরকম ঠকতে না পারে সেজন্য কেন্দ্রীয় কৃষি আইনে চাষিদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চাষির চাষ করতে যে খরচ হবে তার দেড় গুণ টাকা এই বিলের কারণে চাষিরা পাবেন। ফলে সারা দেশের চাষিরা উপকৃত হবেন।
দিলীপ ঘোষ বলেন, এ রাজ্যে আলুর বন্ড চাষিরা পায় না। সেই সকল বন্ড আগে থেকেই তৃণমূলের নেতারা কিনে রেখে দেন। এর ফলে চাষিরা হিমঘরে আলু রাখতে পারেন না। তাদের সমস্ত আলু তৃণমূলের ফোঁড়েরা স্বল্প দামে কিনে নেন। এরপর ৫ টাকায় কেনা আলু ২৫ টাকা দামে বিক্রি করেন, অর্থাৎ ১ কেজি আলুতে পনেরো থেকে কুড়ি টাকা তারা লাভ করে সেই টাকায় ভোটের খরচের যোগান হয়। নতুন কৃষি বিলে চাষিরা নিজেরা বন্ড কিনে নিজেরাই হিমঘরে আলু রাখবেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, উত্তরপ্রদেশে এক তরুণীর উপর যে অত্যাচার হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। সেখানকার সরকার কঠোর সাজার ব্যবস্থা করছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, এই ঘটনা এরাজ্যে জেলায় জেলায় ঘটে চলেছে। কিছুদিন আগে দিঘায় মা-মেয়েকে আগুনে পুড়িয়ে খুন করা হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে এক আদিবাসী মহিলাকে। একই ঘটনা ঘটেছে চোপড়াতেও। সেখানে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই সমস্ত ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলেই বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হচ্ছে। সারা রাজ্যজুড়ে বিজেপি কর্মীদের উপর অকথ্য অত্যাচার চলছে। দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, এ রাজ্যের
সংবাদপত্রগুলি জেলায় জেলায় ঘটে যাওয়া এইসব ন্যাক্কারজনক ঘটনাগুলি দেখতে পায় না। অথচ উত্তর প্রদেশের একটি ঘটনা ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে। আসলে দিদিমণি এই সমস্ত সংবাদপত্রকে টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছেন। তবে সাধারণ মানুষ তারা পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এইসব অন্যায়-অত্যাচারের জবাব দেওয়ার জন্য তারা তৈরি হচ্ছেন।