সাথী দাস, পুরুলিয়া, ৬ জানুয়ারি: মুসলিমরা বিজেপির সঙ্গে আছে বলে দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। “যত গুলি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প গরিবদের জন্য হয়েছে সবগুলোরই সুযোগ সুবিধা ও সুফল পেয়েছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন। এটা বাংলাতে শুরু হয়ে গেছে।” পুরুলিয়ার ঝালদায় এভাবে সংখ্যা লঘু ভোটকে নিজেদের পক্ষে আনার জন্য জবাব দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আজ পুরুলিয়ার ঝালদায় দলের রোড শো ও প্রতিবাদ সভার শেষে সংখ্যালঘুদের বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের একটি প্রশ্নে বিজেপির এই জনপ্রিয় নেতা বলেন, “মিম দিদিমণির টেনশনের ব্যাপার। বিজেপি কোনও দিন এই নিয়ে ভাবে না। আমার সাধারণ মানুষের সঙ্গে থাকি। সব কা সাথ সবকা বিকাশের রাজনীতি করি। তাই, সবাইকে সমান চোখে দেখি।”
এদিন ঝালদায় প্রতিবাদ সভা মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকারের কঠোর সমলোচনা করেন দিলীপ ঘোষ। তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী নেতাদের দল ত্যাগের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “যত অপরাধী নেতা রয়েছেন তাঁদের বাড়িতে সিবিআই তদন্ত হচ্ছে। সিবিআই ধাওয়া করছে ও বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন অপরাধীরা। পার্টি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। ভদ্র লোকেরা এই অপরাধীদের পার্টিতে থাকতে চাইছেন না। তাই, সকালে বিকেলে কেও না কেও দল ছাড়ছেন।
সভায় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “করোনা কবে যাবে জানি না। তবে, তৃণমূল দল কবে যাবে সেটা আমি বলে দিতে পারি। আগামী মে মাসের পর টিএমসি বলে কোনও পার্টি থাকবে না।” দিলীপ ঘোষ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “করোনা ভাইরাসকে শেষ করব, টিএমসিকেও শেষ করবো।”
ঝালদার মেরি আফকার ময়দান থেকে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে রোড শো করে বিজেপি। প্রায় দেড় কিলোমিটার গিয়ে স্থানীয় হাটতলা ময়দানে শেষ হয়। সেখানেই প্রতিবাদ সভা করে পুরুলিয়া জেলা বিজেপি। সভায় বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, জেলা পর্যবেক্ষক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী সহ জেলা নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। ওই মঞ্চেই এদিন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব সহ প্রায় ৫০০ পরিবার বিজেপিতে যোগ দেন। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।