‘মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রাখতে উপনির্বাচনের জন্য লাফালাফি, আগে পুরভোট করান’, দাবি দিলীপ ঘোষের

রাজেন রায়, কলকাতা, ৩০ আগস্ট:  বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বের হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে জিতে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। নন্দীগ্রামে পরাজয়ের পর আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু করোনার বাড়বাড়ন্তের কথা মাথায় রেখে ৪ মাস কেটে যাওয়ার পরেও উপনির্বাচন করানোর কোনো তাড়া নেই নির্বাচন কমিশনের। আর এই ইস্যুতে এবার পুরভোট নিয়ে সরব হল বিজেপি।

মেদিনীপুর শহরে আজ সকালে চা চক্রের পর সাংবাদিকদের বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আগে পুরভোট হোক। কারণ, পুরসভা থেকেই মানুষ রোজকার জীবনের প্রয়োজনীয় সমস্ত পরিষেবা পেয়ে থাকেন। ভোট যদি করাতেই হয়, পুরভোটকে আগে গুরুত্ব দেওয়া হোক। দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, গত ২ বছর ৩ বছর ধরে প্রশাসক নিয়োগ করে পুরবোর্ড চলছে বিভিন্ন জায়গায়। স্থানীয় এলাকার নির্বাচনই তাই আগে হওয়া দরকার।

বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়, “আগে মিউনিসিপ্যালিটি আর কর্পোরেশনের ভোট করিয়ে দিন। ওখানে তো মানুষের প্রতিনিধি নেই। লোকে একটা সার্টিফিকেট পর্যন্ত পাচ্ছে না। ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে, পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মানুষ নিজের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চাইছেন। সেই অধিকারটুকু মানুষকে দেওয়া হচ্ছে না। যত চোর ডাকাতকে বসিয়ে লুঠপাট চালাচ্ছে। এটা তো গণতন্ত্রকে ক্ষতবিক্ষত করা হচ্ছে।” তাঁর অভিযোগ, ”শুধুমাত্র দিদিমণিকে মুখ্যমন্ত্রী রাখতে যাঁরা উপনির্বাচন চাইছেন লোকের প্রাণকে বলি রেখে, তাঁরাই ভোট চলার সময় চিৎকার করেছিলেন করোনা নিয়ে আসছে বাইরে থেকে।” দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, “দু’ বছর তিন বছর হয়ে গিয়েছে একটা পুরসভাতে ভোট হয়নি। কে দিয়েছে এই অধিকার ওনাদের। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করার সাহস ওনারা পাচ্ছেন কী করে? সব জায়গায় ওনাদের লোক চাই।”

যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ”যে মানুষটা পুরসভা আর মুখ্যমন্ত্রীর বিধায়ক নির্বাচনের গুরুত্বই বোঝেন না সেই ধরনের নির্বোধের কোনও কথার জবাব দেওয়াও আমি সমীচীন বলে মনে করি না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *