আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৮ ডিসেম্বর : দুদিনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরের শেষ দিনের শেষ বেলায় পটাশপুরের প্রতাপদিঘিতে সভা করেন দিলীপ ঘোষ। এরআগে পটাশপুরের আড়গোয়াল থেকে প্রতাপদিঘী পর্যন্ত পদযাত্রা অংশগ্রহণ করেন। প্রায় ১০ হাজার কর্মী সমর্থক নিয়ে পদযাত্রা করেন তিনি।
প্রতাপদিঘীর সভামঞ্চ থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায় ও তৃণমূলকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি পুলিশকে হুমকি ও হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বৃহন্নলাদের সঙ্গে তুলনাও করলেন পুলিশেকে। রবিবার পটাশপুরের প্রতাপদিঘিতে বিজেপি-র পথসভায় অংশ নিয়ে দিলীপবাবু অভিযোগ করেন, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে দিলীপ ঘোষ হুমকি দিয়ে বলেন, ‘যে কয়েকজন পুলিশ অফিসার অত্যন্ত চামচাগিরি করছেন, তাবেদারী করছেন তাঁদের আমি বলে দিচ্ছি, সময় আছে পাল্টে যান। আপনি যে পোশাক পরেন, যে মাইনে পান সেটা জনগণের ট্যাক্সের টাকা। সেটা আপনাদের বাপের কিংবা তৃণমূলের জমিদারির টাকা নয়। যে পুলিশ অফিসাররা তৃণমূলের কথা শুনে চলছেন, আমাদের কর্মীদের মিথ্যা কেস দিচ্ছেন। আনন্দে আছেন। তাদের বলছি এই আনন্দ বেশিদিন টিকবে না।বঅনেক সহ্য করেছি। আমাদের পয়সায় তৃণমূলের ক্যাডারের মতো কাজ করছো।‘ রাজনৈতিক মহলের মতে দিলীপ ঘোষের ইঙ্গিত, বিধানসভা ভোটে জিতে বিজেপি ক্ষমতায় এলে পুলিশকর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘এখানে পুলিশ জুলজুল করে তাকিয়ে থাকে। তৃণমূল আমাদের গাড়ি ভাঙ্গে, মারধর করে। দশবার আমার গাড়ি ভেঙ্গেছে। এই হিজড়া পুলিশ দিয়ে কী হবে? টিএমসির গুন্ডারা পুলিশকে দাঁড় করিয়ে মারছে। প্যান্ট খুলে নেওয়া হচ্ছে। থানায় আগুন দিচ্ছে, গাড়ি ভেঙ্গে দিচ্ছে। এই পুলিশ আমার মা-বোনের সম্মান রক্ষা করতে পারবে?’ এরপরই তিনি দলীয়কর্মীদের আইন হাতে তুলে নেওয়ার পরামর্শও দেন। তিনি বলেন, ‘রাতে কোথাও গ্রামে পুলিশ অভিযান চালালে তাদের ধরে নারকেল গাছে বেঁধে রাখবেন। চা তো দূরের কথা, জল পর্যন্ত খেতে দেবেন না। সকালে গ্রামের লোক বিচার করবে তাদের ছাড়া হবে, না কী করা উচিত!’ সভা মঞ্চ থেকে দিলীপ ঘোষের এই ধরনের বক্তব্যের ফলে বিতর্ক সৃষ্টি হবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।