আমাদের ভারত, বর্ধমান, ১৯ নভেম্বর :
একটি মামলার জামিন নিতে বর্ধমান জেলা আদালতে এলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আদালত থেকে তিনি জামিন পান। আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,
গতবছর রায়নায় একটা জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুলিশের দুরবস্থা কথা তুলে ধরেছিলাম।তাদের সামাজিক পরিস্থিতি বোঝাতে গিয়ে আমি এ কথা বলেছিলাম এটা কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি। সেজন্য আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। পুলিশের একজন মানহানির অভিযোগ করেছে। তাই আজকে আমাকে আদালতে ডাকা হয়েছিল। আমি কোর্টে হাজির হলাম। জজ সাহেবের সামনে উপস্থিত ছিলাম। আমরা দায়িত্বশীল। সেই জন্য আজ বর্ধমানে আসা। তবে এদিন জামিন পেলেও সেই মন্তব্য থেকে তিনি সরে আসেননি। এদিন ফের তার মুখে শোনা যায়, সেই দিন যা মন্তব্য করেছিলাম তার থেকেও খারাপ অবস্থা আজকে চলছে। আজকে তো পুলিশকে ডিএ ছাড়াই ডিএ স্লিপে সই করতে হচ্ছে। ডি এ না পেয়েও সেটা স্বীকার করতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, শুধু পুলিশ নয় শিক্ষা বিভাগে স্কুল কলেজে ভর্তি যেকোনো চাকরি ক্ষেত্রে সব জায়গায় টাকা নেওয়া হচ্ছে। সেটা আজকে ওপেন হয়ে গেছে। সে জন্য বহু লোকের নামে কেস হয়েছে। সামাজিক পরিস্থিতি এবং প্রশাসনের দুরবস্থা এটা মানুষকে জানার দরকার। এই সরকার থাকলে এটা পরিবর্তন হবে না।
মালদার সুজাপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণে ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, আপনারা কয়েক বছর থেকে দেখছেন এই সরকার যেদিন থেকে এসেছে জেলায় জেলায় বোমা বিস্ফোরণ হচ্ছে। বন্দুকের কারখানা পাওয়া যাচ্ছে। বাইরে থেকে বিস্ফোরক আসছে। বাইরে থেকেও উগ্রপন্থী আসছে। মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গা থেকে ধরা পড়েছে। উগ্রপন্থী ধরা পড়েছে। তাদের কানেকশন পাওয়া গেছে সিমি জামাত আল কায়দার সঙ্গে। মালদায় আগে একটা টোটোতে বিস্ফোরণ হয়েছিল। বীরভূম বর্ধমান মুর্শিদাবাদ মালদা কোন জেলায় বিস্ফোরণ হয়নি। এই সরকারের প্রশাসনের উপরে কোনো কন্ট্রোল নাই এরা শুধুমাত্র বিজেপিকে আটকাতে ব্যস্ত। এর ফলে দেশদ্রোহীরা ভারতবর্ষে ঢুকে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ কারীদের গড় হয়ে গেছে। আর তারা সারা ভারতবর্ষে উৎপাত শুরু করছে। এই সরকার ভোট ব্যাংকের জন্য কাউকে কিছু বলছে না। আমরা বহুবার বলেছি। এর জন্য সিবিআই এনআইএ ইডি ধরতে আরম্ভ করেছে। যারা মাথা তাদেরকে ধরতে আরম্ভ করেছে। কান টানলে মাথা আসছে সবে কাজ শুরু হয়েছে। কারণ পশ্চিমবঙ্গ সরকার, পুলিশ সিআইডিও চায়না সত্য সামনে আসুক। সেজন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সি ছাড়া এইসব সত্য সামনে আসবে না।
নিজের মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন এর আগে অনেক মামলা হয়েছে আমি কোর্টে গিয়ে জামিন নিয়েছি। আমার নামে ওয়ারেন্ট ওয়ারেন্ট বেরিয়ে যায় আমি তখন কোর্টে গিয়ে নতমস্তকে জামিন নিই। প্রশাসন এবং আইনি ব্যবস্থা আমরা মানি।
রবীন্দ্র সরোবর প্রসঙ্গে তিনি বলেন এই ধরনের যে জলাশয় গুলি আছে তা সবসময় দরকার আছে স্বচ্ছতা দরকার আছে। আমাদের শহরে গ্রামে বহু পুকুর ছিল বহুপুকুর নষ্ট হয়ে গেছে। তবে মাথায় রাখতে হবে যেন জল দূষণ না হয়। পুজোর দরকার তবে যেন জল দূষণ না হয়। মানুষের শ্রদ্ধা ভক্তি আছে সরকারের বিকল্প ব্যবস্থা করা উচিত। যদি কোন জায়গায় ব্যবহার করতে দেওয়া হয় সেটাকে স্বচ্ছতা আনা উচিত পরিষ্কার রাখা উচিত। যাতে পুজো উৎসবের আয়োজন করা যায় সেজন্য সরকারের বিকল্প ব্যবস্থা রাখা উচিত।