আমাদের ভারত, কলকাতা, ৮ ডিসেম্বর: গৌড়ীয় বৈষ্ণব গ্রন্থ, পত্রিকা, পত্রাবলী ও বৈষ্ণব পাণ্ডুলিপির আকর স্থান বাগবাজার গৌড়ীয় মিশন গ্রন্থাগার। গ্রন্থাগারের সমস্ত গ্রন্থ বৈষ্ণব অনুরাগী পাঠক, ভক্ত, ছাত্র, শিক্ষক, গবেষক সহ সারা বিশ্বে জ্ঞান পিপাসু মানুষের কাছে সহজলভ্য করতে বাগবাজার গৌড়ীয় মিশনে একটি ডিজিটাল লাইব্রেরির শুভ উদ্বোধন হলো। এই কাজে সহযোগিতা করেছে ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টার।

ডিজিটাল লাইব্রেরির উদ্বোধন করেন গৌড়ীয় মঠের আচার্য্য ভক্তি সুন্দর সন্নাসী মহারাজ। গৌড়ীয় মিশন বুকস ডট কম নামে (gaudiyamissionbooks.com) একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই ডিজিটাল গ্রন্থাগারের নাগাল পাবেন পাঠকরা। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ট্রাস্টি এবং ডিন ড: সুমন্ত রুদ্র, এশিয়াটিক সোসাইটির এডমিনিস্ট্রেটর কর্নেল অনন্ত সিনহা, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপিকা ড: তিন্নি গোস্বামী।
গৌড়ীয় মঠের সভাপতি ভক্তি সুন্দর সন্নাসী মহারাজ বলেন, গৌড়ীয় মিশন হলো একটি শুদ্ধ ভক্তির প্রতিষ্ঠান এবং ধর্মপ্রচারক সংগঠন। এটির প্রতিষ্ঠাতা আচার্য ছিলেন শ্রীমদ ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী প্রভুপাদ।এখানকার গ্রন্থাগার খুবই সমৃদ্ধ। গৌড়ীয় বৈষ্ণব বিষয়ক বহু গ্রন্থ, ভগবত গীতা, রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণ সহ বহু পাণ্ডুলিপিও রয়েছে। বর্তমানে সারা বিশ্বব্যাপী পুরনো ঐতিহ্যকে বাঁচানোর বিশেষত পুরনো গ্রন্থ, পাণ্ডুলিপি ইত্যাদি ডিজিটাইজেশনে এক বিপ্লব শুরু হয়েছে। তাই তাদের গ্রন্থাগারে থাকা দুষ্প্রাপ্য বই এবার সারা বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে মধুসূদন মহারাজের তত্বাবধানে এই কাজ সম্পূর্ণ হয়। গবেষক, শিক্ষক, ছাত্র, সাধারণ পাঠকরা এই গ্রন্থাগার ব্যবহার করতে পারবেন ঘরে বসে। তিনি আরও বলেন, ভক্তিসিন্ধান্ত সরস্বতী প্রভুপাদের ১৫০ বছরের জন্মবার্ষিকীতে গৌড়ীয় মিশনে এই ডিজিটাল লাইব্রেরির উদ্বোধন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন ড: সুমন্ত রুদ্র বলেন, গৌড়ীয় মিশনের বই ডিজিটাইজ হওয়ায় একদিকে যেমন গৌড়ীয় গ্রন্থ ছাত্র, গবেষক, শিক্ষক ও সাধারণ পাঠকের কাছে পৌঁছে যাবে, তেমনি আগামী দিনে গৌড়ীয় বিষয়ক গবেষণার কাজ আরও তরান্বিত হবে।

