ABHM, দিঘার জগন্নাথ মন্দির আসলে সনাতনের জয়, দাবি অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার

আমাদের ভারত, ২০ এপ্রিল: দিঘায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জগন্নাথ মন্দির স্থাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার পশ্চিমবঙ্গ শাখা।

দলের রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য, সরকারি টাকায় মন্দির নির্মাণের ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। সরকারি টাকায় অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ যদি সাবসিডি পেয়ে নিজেদের তীর্থক্ষেত্রে যেতে পারেন তাহলে সনাতনী হিন্দুদের বেলায় সমস্যা কোথায়? ভারত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হলে আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিত। সেখানে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরুর বিভাজন করাটাও এক অর্থে সাম্প্রদায়িকতার নামান্তর। তাছাড়া আমাদের সবাইকে মাথায় রাখতে হবে কোনো জায়গায় মন্দির নির্মাণ হলে একদিকে যেমন ঈশ্বরের আরাধনা করা হয়, আবার অন্য দিকে সমাজে অর্থনৈতিক বণ্টন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ অনেক বেড়ে যায়। মন্দিরে ভক্তদের দানে গরিব- দুঃখী মানুষদের দুই বেলা ঠাকুরের ভোগ প্রসাদ গ্রহণের সুযোগ হয়। আবার প্রয়োজনের তাগিদেই মন্দিরকে কেন্দ্র করে নিকটবর্তী অঞ্চলে ফুল, ভোগ, মিষ্টান্ন, ডালা, মাটির পাত্র ইত্যাদি একাধিক ছোট বড় শিল্প গড়ে ওঠে। তাছাড়া স্টেশনারি দোকান এবং যানবাহনের ক্ষেত্রেও মন্দির অঞ্চলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়।

ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর মতে, কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বা প্রতিষ্ঠান হিন্দুত্বের ধারক ও বাহক হতে পারে না। বরং প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের কাজের মাধ্যমে প্রমাণ দিতে হবে তারা ভারতবর্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় আবেগকে শ্রদ্ধা করে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতবর্ষ উভয় ক্ষেত্রেই সরকার এবং বিরোধী দলগুলোকে মাথায় রাখতে হবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে গেলে অবশ্যই ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের ভাবাবেগ ও ধর্মীয় বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করতে হবে। আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের দেখানো পথে ভারতের সব রাজ্যেই এইভাবে সরকারি উদ্যোগে বড় বড় মন্দির গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন হিন্দুমহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *