আমাদের ভারত, ২৬ ফেব্রুয়ারি: কর্নাটকের হিজাব বিতর্কে উত্তাল হয়েছে ভারত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার দাবিতে আন্দোলন করেছেন মুসলিম ছাত্রীরা। এই আন্দোলনের প্রতিবাদে গেরুয়া স্কার্ফ পড়ে রাস্তায় নেমেছেন হিন্দু পড়ুয়ারাও। কিন্তু এই ঘটনার রেশ টেনে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের হুমকি দিয়েছে সেদেশের মৌলবিরা। হিন্দুদের ধুতি, পৈতে সিঁদুর পরে রাস্তায় বেরোনো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। এমন কি সেই ফতোয়া না মানলে কন্ঠ স্তব্ধ করারও হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই হুমকির প্রতিবাদে মিছিল করল সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা।
শুক্রবার ধুতি পাঞ্জাবি পরে মিছিলের করে প্রতিবাদ জানান কয়েকশো হিন্দু। মুসলিম মৌলবাদীদের ওই ফতোয়ার বিরুদ্ধে রীতিমতো গর্জে উঠেছেন তারা। বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র ও যুব মহাজোটের নেতৃত্বে শুক্রবার রাস্তায় নামেন হিন্দুরা। তারা প্রত্যেকেই ধুতি এবং পাঞ্জাবি পড়েছিলেন। পাশাপাশি তাদের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল মৌলবাদী গোষ্ঠী কর্তৃক প্রকাশ্যে বাংলাদেশের হিন্দু নারীদের শাঁখা-সিঁদুর ও হিন্দু পুরুষদের ধুতি পরা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকির প্রতিবাদে মিছিল। ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয় এই মিছিল। গোটা শহর জুড়ে মিছিলে সামিল হন হিন্দুরা।
গতবছর দুর্গাপূজার সময় পূজামণ্ডপে কোরান রাখার অভিযোগ তুলে প্রতিমা ভাঙ্গচুর এবং হিন্দুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে গর্জে ওঠে গোটা বিশ্বের হিন্দুরা। তারপর থেকেই সেখানে পরিস্থিতি পাল্টেছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। এবারও সেই ছবিরই পুনরাবৃত্তি হলো। বাংলাদেশের মৌলবাদী আক্রমণের পাল্টা জবাব দিলেন হিন্দুরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দিন কয়েক আগে মুসলিমদের নিয়ে বিশাল জমায়েতের আয়োজন করে চরমোনাই পীরের দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মৌলানা মহম্মদ নেছারউদ্দিন। সেখান থেকে সরাসরি হিন্দুদের হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, কর্নাটকে যদি মুসলিম ছাত্রীদের কলেজে হিজাব পড়ে ঢুকতে না দেওয়া হয়, তাহলে বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুদের ধুতি পড়া চলবে না এমনকি মাথায় সিঁদুর দিয়ে রাস্তায় হাঁটতে দেওয়া হবে না হিন্দু নারীদের। শুধু তাই নয় সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে হিন্দুদের। কন্ঠ কিভাবে স্তব্ধ করে দিতে হয় সেই পথ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা ভালো করেই জানেন বলেও হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।