আমাদের ভারত,১৫ ডিসেম্বর:বালাকোটে হামলা চালানোর ঠিক পরের দিনই পাকিস্তানে হামলা চালাতে প্রস্তুত ছিল ভারতীয় বায়ু সেনা। সেরকম হলে আবার দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হত। চলতি বছরে সেপ্টেম্বরে বায়ুসেনা প্রধানের পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে এমনই তথ্য তুলে ধরলেন প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়া। তিনি বলেন,পাকিস্তান যদি ভারতের কোন সেনা ক্যাম্পে হামলা চালাতো তাহলেই পাল্টা হামলা চালাতেন তারা।
প্রাক্তন সেনা প্রধান বলেন, “২৬ ফেব্রুয়ারি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে জঙ্গিদের শিবিরে হামলা চালিয়েছিল বায়ুসেনা। ঠিক তার পরের দিনই পাকসেনার ওপর হামলার জন্য আমরা তৈরি ছিলাম। পাকিস্তান সেনা যদি ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের কোন সেনা ক্যাম্পে হামলা চালাত তাহলে আমাদের তরফেও পাল্টা হামলা চালানো হতো। আমাদের সেনা তৈরি ছিল।”
প্রাক্তন সেনাপ্রধান আরোও জানান, “আমরা আশা করেছিলাম পাকিস্তানের তরফে কোন অগ্রগতি হবে। কিন্তু পাকিস্তান হামলা চালালেও আমাদের কোন ক্যাম্পে আঘাত না লাগায় আমরা চুপ করে থাকি।” ধানুয়া বলেন, পাকিস্তানি বায়ুসেনা হামলা করলেও রাজৌরি ও পুঞ্চ সেক্টরের ঘাঁটিতে তারা আঘাত হানতে সক্ষম হয়নি। সেই জন্যই পাকিস্তান বারবার দাবি করেছে ২৭ ফেব্রুয়ারি যে হামলা চালিয়েছিল পাক বায়ুসেনা তা শুধুমাত্র নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।” সেনা প্রধান বলেন , আদৌ তা সত্যি নয়। আসলে পাক সেনা হখমলা চালালেও তারা কোন ঘাঁটিতে আঘাত করতে পারেনি। নিজেদের ব্যর্থতা লুকাতে তারা একথা বলেছিল বলে দাবি করেন ধানোয়া।
তিনি বলেন, সেদিন শুধুমাত্র জঙ্গি শিবিরেই হামলা চালানো হয়েছিল। যদি নির্দেশ থাকতো তাহলে শক্তিশালী ব্রহ্ম্যস মিসাইল ব্যবহার করা হতো। আর তাতেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো অনেক বেশি হত। আমরা শুধু জঙ্গি শিবিরের হামলা চালিয়ে পাকিস্তানকে জবাব দিতে চেয়েছিলাম। আর সেই কারণেই নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে জঙ্গি শিবিরে হামলা করা হয়।
ধানুয়া দাবি করেন দু’দেশের সেনাবাহিনীর ক্ষমতা বিচার করলে পাকিস্তানের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে ভারত। পাক সেনা ভারতীয় অস্ত্রভান্ডারের কথা জানে না। জানলে নিজেদের অস্ত্র নিয়ে বড়াই করত না তারা।